জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে সাধারণ মানুষ যাতে কোন ধরনের হয়রানির স্বীকার না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি গতকাল মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই নির্দেশ দেন।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অথবা ভুল সংশোধন করতে গিয়ে, সাধারণ মানুষ যে সব কারণে হয়রানি হচ্ছে, তা খুঁজে বের করে দ্রুত সেগুলো সমাধানের নির্দেশ দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সাধারণ একটি ভুল-ভ্রান্তির জন্য মানুষ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে হয়রানির স্বীকার হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশে আমাদের দূতাবাসগুলো থেকে অনেক অভিযোগ আসে। নানা জটিলতার কারণে তারা নিবন্ধন সংক্রান্ত সেবা পাচ্ছেন না। জন্মনিবন্ধন প্রপ্তিতে যে কোনো স্তরে জনগণকে কোনো ধরনের হয়রানি করা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ এ ধরনের কাজে যুক্ত হয়ে থাকে এবং সেটা প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সার্ভারের সমস্যা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, সার্ভারে যদি সমস্যা থাকে তাহলে দ্রুত সমাধান করতে হবে। চলমান সফটওয়্যার পরিবর্তনের পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তি সংযোজন করার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে। সার্ভার জটিলতা বিষয়ে তাজুল বলেন, আমাদের এখানে সার্ভার নতুনভাবে ইনস্টল করার কারণে কিছুদিন সিস্টেম শাটডাউন ছিলো। এখন তা চালু হয়েছে। ইউনিসেফ আমাদের আর্থিক ও কারিগরিভাবে সহায়তা করেছে। তারা নিজেরাও দেখভাল করছে, যাতে সুন্দরভাবে এটি পরিচালনা করা যায়।
মন্ত্রী বলেন, জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা জন্ম তারিখ, পিতা মাতার নামসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। চেয়ারম্যানরা মাসিক মিটিংয়ে এ সংক্রান্ত করণীয় বিষয়ে বিশদ আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের মহাপরিচালক, সকল সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, উপজেলা ও পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।