স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জনগণের প্রাপ্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ও জনগণের সেবক হিসেবে বিসিএস কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।
তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দিতে তাদের ভূমিকা সর্বাগ্রে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ কর্মকর্তাদের নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান স্পিকার।
৩১তম বিসিএস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে ‘যোগদানের ৯ম বর্ষপূর্তি ও ১০ম বর্ষে পদার্পণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার ৩১তম বিসিএস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে রচিত ‘দ্যা পলিটিশিয়ান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
স্পিকার বলেন, চব্বিশ বছরের সুদীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম এবং বারবার কারাবরণ করে বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার ত্যাগ-তিতিক্ষা, ৩০ লাখ শহীদ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। আজ স্বাধীন বাংলাদেশে সকলে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। স্বাধীন দেশে সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করতে পারা কর্মকর্তাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে, সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিরলস কাজ করছেন। দেশের সব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বিসিএস কর্মকর্তারা অগ্রভাগে কাজ করে থাকেন। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অগ্রগতি এবং কৃষক, জেলে ও সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে বিসিএস কর্মকর্তাদের কাজ করার সুযোগ সবচেয়ে বেশি।
স্পিকার বলেন, মিশরীয় লেখক মোহসেন আল আরিশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের উত্থান নিয়ে ‘হাসিনাঃ হাকাইক ওয়া আসাতির’ গ্রন্থটি রচনা করেছেন যা অত্যন্ত বাস্তবধর্মী। বাঙালি না হয়েও বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের প্রতি মিশরীয় লেখক মোহসেন আল আরিশির যে সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন একটি গভীর গবেষণালব্ধ ও জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থ রচনার জন্য লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
৩১তম বিসিএস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল হাদীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় দে সজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মিশরীয় গবেষক, লেখক ও সাংবাদিক এবং ‘হাসিনাঃ হাকাইক ওয়া আসাতির’ গ্রন্থের লেখক মোহসেন আল আরিশি প্রধান আলোচক এবং ‘শেখ হাসিনাঃ যে রূপকথা শুধু রূপকথা নয়’ গ্রন্থের অনুবাদক ইসফানদিয়র আরিওন বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ৩১তম বিসিএস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।