কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক চালের দাম শিগগিরই স্থিতিশীল হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, “বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে খাদ্যের মজুত আছে ২০ লাখ টন, যা যে কোন সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ। আর আগামী এপ্রিল মাসে নতুন চাল বাজারে আসলে চালের দাম স্থিতিশীল ও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
গতকাল বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী চালের দাম বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘সম্প্রতি দেশে চালের দাম কিছুটা অস্থিতিশীল ও ঊর্ধ্বমুখী। আন্তর্জাতিক বাজারেও খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। প্রতিবছর ২২-২৪ লাখ নতুন মুখ যোগ হচ্ছে। অ্যানিমেল ফিড হিসেবেও চালের কিছু ব্যবহার হচ্ছে। এসব মিলে চালের চাহিদা ও কনজামশন বেড়েছে। তবে এই মুহূর্তে দেশে খাদ্যের কোন সংকট নেই, ভবিষ্যতেও হবে না বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, “মাঠ পর্যায়ে যে ফসল কৃষকেরা ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন, ঢাকায় এসে সেই ফসলের দাম ৪০-৪৫ কেজি কেন হবে? মধ্যস্বত্ত্বভোগী, ফড়িয়া সারা পৃথিবীতেই আছে, কিন্তু এত দামের ফারাক হবে কেন? পরিবহণে চাঁদাবাজিসহ অনেক অপ্রত্যাশিত খরচ আছে। একটি ট্রাক মাঠ পর্যায় থেকে ঢাকা পৌঁছা পর্যন্ত কত খরচ হয়, কোথায় কোথায় খরচ হয়, তা খুঁজে বের করতে জেলা প্রশাসক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও কৃষি মন্ত্রণালয় মিলে স্টাডি করবে। স্টাডির মাধ্যমে প্রাপ্ত সমস্যা নিরসনে জাতীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এসময় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলা পর্যায়ে এক হাজার ৭৬০ জন ডিলারের মাধ্যমে ওমমএস-এ চাল ও আটা বিক্রি শুরু হবে। চাল ৩০ টাকা কেজি ও আটা ১৮ টাকা কেজিতে দেয়া হবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ওএমএস যাতে সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, সেজন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।