মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা তীব্র আকার ধারণ করছে। চট্টগ্রাম ও বরিশালে বৃষ্টিপাত ছাড়িয়েছে ৩০০ মিলিমিটার।
রোববার (৬ আগস্ট) এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩০৬ মিলিমিটার, বান্দরবানে ২৫৩ মিলিমিটার, রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ মিলিমিটার, সন্দ্বীপে ১৪২ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ১০৯ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ১০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এ ছাড়া বরিশাল সদরে ১০৭ মিলিমিটার, পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৩২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে হালকা এবং ময়মনসিংহ, সিলেট ও খুলনা বিভাগে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে ইতোমধ্যে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, শঙ্কা রয়েছে পাহাড় ধসেরও।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবে। ঢাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার।
আগামী দুদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় সব সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।