নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই গাজায় মানুষের ‘অপ্রয়োজনীয় দুর্ভোগ’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মালালা ফিলিস্তিনি ছিটমহলে বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে ‘পূর্ণ যুদ্ধবিরতি’র আহ্বান জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর এক পোস্টে মালালা বলেন, আজ রাতে গাজার নারী ও শিশুদের জন্য স্বস্তি বোধ করছি। তবে এটা ভাবতেও খারাপ লাগছে যে- শিগগিরই আবারো ইসরাইলি বোমাবর্ষণ শুরু হবে।
মালালা আরো বলেন, আমাদের অবশ্যই তাদের পক্ষে কথা বলতে হবে- একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতি এবং আরো মানবিক সহায়তার জন্য।
তিনি আরো বলেন, এই প্রয়োজনীয় দুর্ভোগের দ্রুতই অবসান হওয়া উচিত।
এদিকে হামাস-ইসরাইলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে চার দিনের বিরতি চলছে। এর প্রথম দিনেই ইসরাইলের কারাগার থেকে ‘৩৯ নারী ও শিশু’ মুক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছে কাতার।
এর আগে ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ১২ থাই ও ১৩ ইসরাইলি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
জানা গেছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৪ হাজার ৮৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারেরও বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।