অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

খাদ্যের নিশ্চয়তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারাদেশে সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে। এর মধ্যমে খাদ্যের নিশ্চয়তা, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জীবনমান উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য। আওয়ামী লীগের সরকারে আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল, দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে।
আজ শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের আওতায় দাড়িয়াকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে কৃষি এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, দারিদ্র বিমোচন করে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা। যেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। এটি বাস্তবায়নের জন্য অনেকগুলো ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। তার মধ্যে আমার বাড়ি আমার খামার একটি ব্যবস্থা। এটি একেবারে হতদরিদ্র মানুষকে মুক্তি দেবে। সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি, দারিদ্র বিমোচন ও ক্ষুদ্র সঞ্চয়ব্যবস্থা হয়। আমরা সারাদেশে সমবায়ের মাধ্যমে মানুষকে নিয়ে যৌথভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাই। মানুষের খাদ্য নিশ্চয়তা, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে মানুষের আর্থসামাজিক ও জীবন মান উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য।
এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের মানুষকে নিয়ে যৌথভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাই। তিনি বলেন, দেশটাকে স্বাবলম্বী করতে চাই। যুব সমাজ যেন চাকরির পেছনে না ছুটে ব্যবসা করতে পারে, সেজন্য বিনা জামানতে ঋণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। পেনশন স্কিমে যোগ দিলে আর ভাতার আশায় থাকতে হবে না দেশের মানুষকে।
তিনি বলেন, নতুন আরেকটি আধুনিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। আজকের শিশু-কিশোর যুবক তারাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের সৈনিক। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে দেশকে বাঁচাতে প্রত্যেকে যেন দুই-তিনটা করে গাছ লাগায়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে একজনকে ধান মাড়াই মেশিন, দুইজনকে দুটি ল্যাপটপ দেন। শিক্ষাসহায়তা হিসেবে ৩৮ শিক্ষার্থীকে ৪০ হাজার টাকা করে অনুদান, ১০ জনকে ১০টি ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন, ৩৮ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে স্কুল ড্রেস, স্কুল ব্যাগ, কাগজ-কলম ও ছাতা প্রদান করেন। এছাড়াও ১০ জনকে ১০টি বাইসাইকেল, ১০ জন কৃষককে বীজ, সার, গাছের চারাসহ পুষ্টি বাগান উপকরণ ও ১০ জোড়া করে দুইজনকে মোট ২০ জোড়া কবুতর দেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। এরপর সড়কপথে প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় ফিরবেন।
এর আগে সকালে একদিনের সফরে গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এ সময় ছোট বোন শেখ রেহানা, চাচাতো ভাই শেখ হেলাল, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল বেলী অফিফাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত খবর

এই গ্রামের সবাই মৃত অথবা নিখোঁজ

Hamid Ramim

জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

gmtnews

দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের বিপ্লব অত্যাসন্ন: মোস্তাফা জব্বার

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত