কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। দেশের কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে।
কিন্তু ভূমি খালি রেখে দেশকে রক্ষা সম্ভব নয়। তার জন্য কৃষকদের যা সহযোগিতা লাগবে সার, পানি ও বীজ তা সময় মতোই ব্যবস্থা করা হবে। কারণ এর কোনো বিকল্প নেই। তবে দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে রাজশাহী সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আব্দুস শহীদ বলেন, কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। কৃষকদের ফসলের উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহিত করতে হবে। প্রত্যেক এলাকার মাটি পরীক্ষা করে কোন ফসল ফলালে উৎপাদন বেশি হবে সে বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই যেন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। দেশের মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে অবশিষ্ট খাদ্য সংরক্ষণের জন্য সরকার দেশের আট বিভাগে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে।
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আমাদের সহযোগিতা করছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ সুযোগ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান শতকরা ১২ শতাংশ। এটা আরও বাড়াতে হবে। ভবিষ্যতে রাজশাহী থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত চাল উৎপাদনের প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবং ক্ষুধা মুক্ত দেশ গড়তে। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই লক্ষ্য নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। হেনরি কিসিঞ্জারের সেই তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ আজ পৃথিবীর মধ্যে একটি রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাইকেল জন ওয়েবস্টার, কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) এম এস জু-আন নাহার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, এনজিও প্রতিনিধি ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।