কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষি মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (এআইপি)’ সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। তার আলোকে প্রথমবার ২০২০ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে এ সম্মাননা।
ড. আব্দুর রাজ্জাক গতকাল (২৬ জুলাই) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (এআইপি) সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন।
এ সময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে এআইপি পাচ্ছেন ১৩জন। এআইপি সম্মাননা প্রাপ্তরা সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের চিরবঞ্চিত, অবহেলিত ও চিরশোষিত কৃষকের উন্নয়নে স্বাধীনতার পরপরই যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। কৃষি গবেষণায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে বঙ্গবন্ধু সরকারি চাকুরিতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করে কৃষির আধুনিকায়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
তিনি বলেন, কৃষি এবং কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকবান্ধব।
মন্ত্রী বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কৃষির সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, খামারিসহ কৃষির সাথে সম্পৃক্তদেরকে প্রতি বৎসর সম্মাননা জানাতে ও তাদেরকে উৎসাহিত করতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (এআইপি) সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনের কৃষিকে আমরা বাণিজ্যিক ও সম্মানজনক পেশা হিসেবে উন্নীত করতে চাই। কৃষিতে শিক্ষিত, মেধাবী ও সৃজনশীল তরুণদের আকৃষ্ট করতে চাই।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে কৃষক, কৃষিবিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, বাণিজ্যিক কৃষিখামার স্থাপনকারী, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী ও কৃষি সংগঠকদের উৎসাহ ও সম্মান জানাতে এআইপি সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে টেকসই কৃষির উন্নয়নে কৃষির সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।