কাবুল বিমান বন্দরের বাইরে বৃহস্পতিবার জনতার ভিড়ের মধ্যে জোড়া আত্মঘাতি বোমা বিষ্ফোরণে ১৩ মার্কিন সৈন্যসহ অসংখ্য লোকের মৃত্যু হয়েছে। তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তান থেকে বিদেশী নাগরিক ও আফগান সহযোগীদের সরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টার শেষ দিন গুলোতে প্রচন্ড চাপের মধ্যে এই ঘটনায় আতঙ্ক আরো গভীর হয়েছে।
ইসলামিক স্টেট গ্রুপ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে, আসন্ন বড় ধরণের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা সম্পর্কে সতর্ক করা সত্ত্বেও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে মরিয়া হাজার হাজার আফগান বিমান বন্দরের বাইরে জমায়েত হয়। আইএস গ্রুপের এই হামলায় সেখানে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের মর্মান্তিক দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে লোকদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি সামলাতে বাইডেন প্রশাসনের ওপর প্রচন্ড চাপের মধ্যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, বিমানে লোকদের সরিয়ে আনার কার্যক্রম বন্ধ হবে না এবং এই হামলার জন্য দায়ীদের শাস্তির মুখোমুখি করার অঙ্গীকার ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই হামলাকারীদের ক্ষমা করবোনা। আমারা তোমাদের ধরবো এবং এর দায় তোমাদের শোধ করতে হবে।’
বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, সমস্ত আমেরিকান সৈন্য অবশ্যই আংশিকভাবে আইএস হামলার হুমকির কারণে আফগানিস্তান ছেড়ে যাবে, মঙ্গলবারের মধ্যে এয়ারলিফট শেষ হবে।
তালেবানরা ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রন গ্রহন করার পর থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তান ত্যাগে মরিয়া ১ লাখের বেশী লোককে বিমানে সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে।
তালেবানরা মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী এয়ার লিফট পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছিল, যথাসম্ভব দ্রুত মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্যে তালেবানরা তাদের সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করছিল।
কিন্তু তালেবানের প্রতিদ্ব›দ্ধী আইএস জিহাদিরা তাদের অতীত ধারাবাহিকতা অনুযায়ী আফগানিস্তানে বর্বর হামলা চালায়, কাবুলের বিশৃংঙ্খলাকে পুঁজি করাই তাদের উদ্দেশ্য।