কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরি সহায়তা হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে আরো ১১.৪ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ সোমবার (৯ আগস্ট) ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এই সহায়তা জীবন-রক্ষাকারী মেডিক্যাল সরঞ্জাম ও অক্সিজেন সরবরাহ এবং দেশজুড়ে কার্যকর কোভিড-১৯ টিকা প্রচারাভিযানের জাতীয় প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে কোভিডের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
এছাড়াও নতুন এই সহায়তা বাংলাদেশের কমিউনিটিতে বা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ কমানোর লক্ষ্যে গৃহীত প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করতে সাহায্য করার পাশাপাশি দেশব্যাপী ক্রমবর্ধমান রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা প্রদান ও সেবাযত্নের মান বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, ঐতিহাসিক আমেরিকান রেসকিউ প্ল্যানের মাধ্যমে দেওয়া এই বর্ধিত অনুদান বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আমাদের দেওয়া চলমান সহায়তারই অংশ।
বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মোকাবিলা কার্যক্রমে সহায়তাকারী সর্ববৃহত দাতা দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বিগত পাঁচ দশক ধরে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে কাজ করে আসছে। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এই বিশেষ চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তে আমাদের অংশীদারিত্ব অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার মহামারীর শুরু থেকে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মোকাবিলা কার্যক্রমে সহায়তা করতে নতুন এই তহবিলসহ মোট ৯৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া কোভিড-১৯ সহায়তার মধ্যে ৫৫ লাখ ডোজ মডার্না টিকা এবং দেশব্যাপী জাতীয় টিকা প্রচারাভিযান কার্যক্রম পরিচালনার সামর্থ্য বাড়াতে সহায়তা করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স টিকাদান প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে ইতোমধ্যে ২ বিলিয়ন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং পরবর্তীতে আরো ২ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানুষের কাছে ন্যায়সঙ্গতভাবে কোভিড-১৯ টিকা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশে পরিণত হয়েছে।