স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতি ঠেকাতে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
গতকাল এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে দেশে কোভিড পরিস্থিতি অবনতি ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালতে অর্ধেক জনবল দিয়ে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
এসময় মন্ত্রী বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয়সহ যে কোনও অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। যারা এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তাদের অবশ্যই টিকার সনদ থাকতে হবে। নতুন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করানো পিসিআর টেস্টে ‘নেগেটিভ’ সনদ থাকতে হবে। গণপরিবহনেও একই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা রোগীতে এক তৃতীয়াংশ হাসপাতালের বেড ভরে গেছে। এভাবে বাড়লে ঢাকা শহরের সকল হাসপাতালেই আর বেড পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে যে অবস্থা চলছে সেটা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালের বেড এক তৃতীয়াংশ ভরে গেছে। এভাবে বাড়লে ঢাকা শহরের সকল হাসপাতালেই আর বেড পাওয়া যাবে না। আগে থেকেই সর্তক হতে হবে। ঢাকা শহরের সিটি কর্পোরেশনের ভেতরেই এক হাজার মানুষ ভর্তি হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে দেশের হাসপাতালগুলোতে ‘আশঙ্কাজনকহারে’ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। প্রতিদিনিই রোগী শনাক্তের হার বাড়ছে, যদিও মৃত্যুহার এখনও কিছুটা কম। সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ আমরা এখনও সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছি না। সরকার ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়েছে, তারপরও মানুষ সেটা মানছে না।’