আমেরিকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হল জো বাইডেনের। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত পুতিন-বাইডেনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের। বিশ্বের এই দুই শীর্ষ নেতাই জানিয়েছেন, যে কোনও মূল্যে পরমাণু যুদ্ধ এড়িয়ে চলতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আমার এজেন্ডা জানিয়েছি। এটি রাশিয়া বা কারওর বিরুদ্ধে নয়, এটি আমেরিকার জনগণের জন্য। আমেরিকান হিসাবে সব সময় মানবাধিকারের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে থাকবে। পুতিনও এক্ষেত্রে সৌহার্দমূলক মনোভাবই দেখিয়েছেন। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিন জানেন যে পরবর্তী সময়ে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বা সাইবার হামলা চালালে পরিণতি কী হতে পারে।’
রাশিয়ায় মানবাধিকার রক্ষিত হচ্ছে না, এই প্রশ্নে পুটিন জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনের তৈরি করে দেওয়া মানবাধিকার মানতে তিনি বাধ্য নন। তার দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে অ্যামেরিকা মাথা গলাক তাও তিনি চান না। ক্যাপিটল হামলা থেকে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার অ্যামেরিকার একাধিক ঘটনা নিয়েও নিজের মতামত জানিয়েছেন পুটিন।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করলেন জো বাইডেন এবং ভ্লাদিমির পুতিন। বৈঠকের পর বাইডেন থামস আপ দেখিয়ে জানিয়েছেন, বৈঠক কার্যকরী হয়েছে। পুটিন জানিয়েছেন, বাইডেন বিচক্ষণ রাজনীতিক এবং প্রশাসক।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর রাশিয়া এবং অ্যামেরিকা দুই পক্ষই জানিয়েছে, পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুই নেতা। তারা জানিয়েছেন, পরমাণু যুদ্ধে জেতা সম্ভব নয়, ফলে সেই যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়াই ভালো। একই সঙ্গে অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও দুই পক্ষের কথা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী বৈঠক করবেন এবং চুক্তি করবেন। পুতিন জানিয়েছেন, অন্তত ২০২৪ পর্যন্ত যাতে সেই চুক্তি স্থায়ী হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা হবে।
এখন দেখার বিষয় বাইডেন-পুতিনের এই বৈঠকের পর কতটা কাছাকাছি আসে এই দুই শক্তিশালী দেশ। আর এটা সম্ভব হলে লাভবান হবে গোটা বিশ্বই।
একটি মন্তব্য করা হয়েছে
[…] রেউভিন রিভলিনের সঙ্গে বৈঠক করেন জো বাইডেন। বৈঠকে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে […]