দেশে কোভিড সংক্রমণ রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়ে চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত করা হয়েছে। এ অবস্থায় পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী এসএসসি ও এইচএসসির মতো দুটি বড় পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছেন, কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করবে সময় পিছিয়ে হলেও পরীক্ষা নিতে, কিন্তু সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে নেহাত সম্ভব না হলে বিকল্প মূল্যায়ণের চিন্তাভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, “সবগুলো বোর্ড পরীক্ষা নেয়ার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পাবলিক পরীক্ষায় সবগুলো বোর্ডের মধ্যে সমতা বিধানের প্রয়োজন রয়েছে।”
শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, ইতিমধ্যেই তারা এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা নেবার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা এইচএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৬০ দিন ও ৮৪ দিনের সিলেবাস করেছি, সেগুলোর ওপর অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাব। আরো কিছুদিন হয়তো দেখতে হবে। বিকল্প অনেকগুলো পদ্ধতি নিয়ে আমরা ভাবছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে মূল্যায়ন হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব চেষ্টা করছিলাম ১৩ জুন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে। তবে পরিস্থিতি প্রতিদিনই পরিবর্তন হচ্ছে। কোভিড সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন তো সংক্রমণের হার অনেক বেশি। তাই অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই।’
শিক্ষামন্ত্রী বিকল্প চিন্তার কথা বললেও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, পাঁচ-ছয় মাস পিছিয়ে হলেও এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে, তবু অটোপাস দেওয়া হবে না। মোটকথা ছোটখাটো আকারে হলেও পরীক্ষা হবে। গত বছর পুরো সিলেবাস শেষ করেছিল পরীক্ষার্থীরা। কোভিডের কারণে পরীক্ষা না নিয়ে আগের দুই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু এবার শিক্ষার্থীরা পড়তেই পারেনি। তাই তাদের অটোপাস দেওয়ার সুযোগই নেই।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি বা মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এ সময়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব ছিল। আর না পড়িয়ে কীভাবে সরকার অটোপাস দেবে, তাও বোধগম্য নয়। হয়তো সংক্ষিপ্ত কোনো পরীক্ষা বা মূল্যায়নের দিকে যেতে পারে শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে যাই করা হোক ছোট করে হলেও একটি পরীক্ষা অন্তত নিতেই হবে।’
বাংলাদেশে এই মূহুর্তে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশের কাছাকাছি। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এর আগে বলেছেন, সংক্রমণের হার ৫ শতাংশে না নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা ভাববে না সরকার।
একটি মন্তব্য করা হয়েছে
[…] পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ চলতি সপ্তাহে। সংক্ষিপ্ত […]