তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ইতিবাচক বৈঠকের মধ্য দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটির সম্পর্কে টানাপোড়েনের অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ন্যাটোর সম্মেলন চলার মাঝে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, তাদের আলোচনা ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ হয়েছে এবং তাঁর আশা তুরস্কের সঙ্গে সত্যিকার সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘সমাধানযোগ্য নয় এমন কোনো বিষয় তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে থাকতে পারে বলে আমরা মনে করি না। ‘পারস্পরিক মর্যাদা ও স্বার্থের ওপর নির্ভর করে সব ক্ষেত্রে নতুন করে শুরু করার দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা দুই দেশেরই রয়েছে।’
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনের একপর্যায়ে স্থানীয় সময় সোমবার অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ মন্তব্য করেন।
এর্দোয়ান জানিয়েছেন, ”বাইডেন প্রশাসনের কাছে তার দুইটি দাবি আছে। সেটা হলো, প্রতিটি ক্ষেত্রে তুরস্কের আর্থিক ও রাজনৈতিক সার্বভৌমত্বকে যেন সম্মান জানানো হয় এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে অ্যামেরিকা যেন সাহায্য করে।”
তবে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে এখনো মতবিরোধ আছে। যেমন, এর্দোয়ান মনে করেন, সিরিয়ায় কুর্দিদের সব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কারণ, তারা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পিকেকে-কে সমর্থন করে। কিন্তু অ্যামেরিকা কুর্দিদের কিছু সংগঠনকে সমর্থন করে। কারণ, অ্যামেরিকার মতে, ওই সংগঠনগুলি আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
এর্দোয়ান আবার অনেক সময়ই অ্যামেরিকার ইসরায়েল নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি ইসরায়েলকে সমর্থনের বিরোধী।
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার আগেই ২০১৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে এরদোয়ানকে একনায়ক হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন বাইডেন। তুরস্কে এরদোয়ানবিরোধীদের সমর্থন দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। অন্যদিকে হোয়াইট হাউসে অভিষেকের পর বিশ্বনেতারা বাইডেনকে অভিনন্দন জানালেও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে সময় নেন এরদোয়ান। এমন পরিস্থিতিতেই ব্রাসেলসে পরস্পরের মুখোমুখি হন দুই নেতা।