গাজাভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তাদের হাতে বন্দী থাকা এক নারী এবং তার দুই সন্তানকে মুক্তি দিয়েছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম বিগ্রেড একটি ভিডিওতে তাদের মুক্তির বিষয়টি জানিয়েছে।
বুধবার রাতে আল জাজিরায় প্রচারিত ওই ভিডিওটি বেশ দূর থেকে তোলা হয়। এতে এক নারী এবং তার পেছনে দুই শিশুকে দেখা যায়।
এসময় তাদের থেকে একটু দূরে কয়েক ব্যক্তিকে হাঁটতে দেখা যায়। তারা দৃশ্যত হামাস যোদ্ধা। তারা ওই তিনজনকে দৃশ্যত ইসরাইল ও গাজার মধ্যকার সীমান্তের একটি প্রাচীরের কাছে উন্মুক্ত এলাকায় ছেড়ে দেন। দুই শিশুর মধ্যে একজন নবজাতক।
ভিডিওটি কোথায় তোলা হয়েছে, তা অস্পষ্ট। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এখনো ভিডিওটি প্রকাশ করেনি।
এক বিবৃতিতে কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, ওই নারী এক ইসরাইলি নাগরিক।
এএফপি বার্তা সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘সংঘাতের পর আটক এক ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী এবং তার দুই সন্তানকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।‘
আল জাজিরার হোদা আবদেল–হামিদ পশ্চিম জেরুসালেম থেকে জানান, ইসরাইলি মিডিয়া এই ভিডিওকে ‘সত্য বলে বিশ্বাস করা কঠিন‘ হিসেবে অভিহিত করেছে।
আবদেল–হামিদ বলেন, ‘এক সাংবাদিক বলেছেন, হামাস এখন ড্যামেজ কন্ট্রোল করছে। আর এটি একটি মিডিয়া স্টান্ট। কয়েকটি ইসরাইলি চ্যানেল বলছে, এই মুক্তি ঘটেছে আরো আগে। কেউ কেউ বলছে, মুক্তি দেয়া হয়েছে শনিবার এবং হামাস এই পর্যায়ে তাদের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি উন্নত করার চেষ্টা করছে।‘
তিনি বলেন, ‘ছবিগুলো এখনো দেশজুড়ে প্রচারিত হচ্ছে। আল জাজিরা মাত্র তা ছেড়েছে। লোকজন যা দেখছে, তা হজম করার চেষ্টা করছে।‘
তিনি বলেন, এ নিয়ে পরস্পরবিরোধী প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
শনিবার ইসরাইলে অভিযানের সময় প্রায় ১৫০ জনকে বন্দী করে হামাস।
এরপর থেকে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ইসরাইলি হামলায় গাজায় হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫,০০০। আর হামাসের হামলায় ইসরাইলে নিহত হয়েছে ১২ শ‘ লোক। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশী রয়েছে।
ইসরাইল পুরোপুরি অবরোধ আরোপ করেছে গাজায়। খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধসহ কিছুই প্রবেশ করতে পারছে না উপত্যকায়। একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কেন্দ্রটিও জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।