তৃণমূল নেতারা নিজেদের এলাকার দলীয় বিভেদ ও সমস্যা তুলে ধরেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। আর প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের নেতাদের মিলেমিশে চলার পরামর্শ দিয়েছেন এবং সরকারের অর্জন মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন। মঙ্গলবার গণভবনে ৬০ থেকে ৭০ জন জেলা নেতা সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল নেতাদের কথা শোনেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সোমবার ঢাকায় সারা দেশের নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও তাঁদের সঙ্গে আসা দলীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাক্ষাতের সময় চান। তাঁদের গতকাল সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য সময় দেওয়া হয়।করোনা মহামারি শুরুর পর দলীয় নেতাদের সঙ্গে সশরীর দেখা–সাক্ষাৎ কমে যায় প্রধানমন্ত্রীর। তবে এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে ঢাকার বাইরে গেলে রাজনৈতিক সমাবেশ করবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া যেসব জেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ নতুন কমিটি হয়েছে, সেখানকার নেতাদের গণভবনে ডেকে মতবিনিময় করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আগ্রহ দেখিয়েছেন বলেও দলীয় সূত্র জানিয়েছে। মঙ্গলবার গণভবনে উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেলা একটা থেকে চারটা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নেতাদের কাছ থেকে তৃণমূলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হন। পরে বক্তব্যে তিনি দলকে সুসংহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতাদের সরকারের উন্নয়নকাজ ব্যাপকভাবে প্রচারের নির্দেশনাও দেন।বৈঠকে জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে সাবেক ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সিলেট, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, বরিশাল, রাজশাহী, পটুয়াখালী, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের প্রায় সবার কথাই প্রধানমন্ত্রী শোনেন। সিলেট বিভাগ থেকে বৈঠকে চারজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হচ্ছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন। তাঁরা প্রত্যেকেই বৈঠকে বক্তব্য দিয়েছেন।
সম্পর্কিত খবর
- মন্তব্য
- ফেসবুক কমেন্টস