বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সের্হিও রামোস বলেছিলেন, এই ম্যাচে গোল করার ইচ্ছার কথা। সেভিয়ার জার্সিতে বার্সার মাঠে এদিন রামোস গোল করেছেনও বটে, তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রামোসের গোলটি ছিল নিজেদের বিপক্ষেই, অর্থাৎ আত্মঘাতী গোল। এই স্প্যানিশ কিংবদন্তির আত্মঘাতী গোলেই উত্তাপের ম্যাচে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সেভিয়া। আর ১-০ গোলের ম্যাচ জিতে জিরোনাকে দুইয়ে পাঠিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে বার্সা।
ম্যাচটি মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরেই উত্তাপ ছড়িয়েছে বেশি। বিশেষ করে সেভিয়ার দেওয়া একটি বিবৃতি গোটা পরিস্থিতিকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যায়। বিবৃতিতে আন্দালুসিয়ান ক্লাবটি জানায়, বার্সার বিপক্ষে ম্যাচে তাদের পরিচালকেরা বার্সার লুইস কোম্পানি অলিম্পিক স্টেডিয়ামের ডিরেক্টরস বক্সে বসবে না।
মূলত বার্সার বিরুদ্ধে রেফারিকে ঘুষ দেওয়ার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় সেভিয়া। তবে সেভিয়ার এমন আচরণকে ভালোভাবে নেয়নি বার্সা কর্তৃপক্ষ। তারাও পাল্টা ঘোষণায় সেভিয়ার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়ে দেয়। সব মিলিয়ে এই ম্যাচকে ঘিরে মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরের উত্তাপই ছিল বেশি।
মাঠে অবশ্য এদিন বার্সার দাপটই ছিল বেশি। বলের দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল তারাই। তবে পাল্টা জবাবে সেভিয়াও চেয়েছিল বার্সাকে চমকে দিতে। দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল তারাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি। ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলে দলকে গোল খাওয়ার হাত থেকে বাঁচালেও শেষ পর্যন্ত আর পারেননি রামোস। তাঁর একটি ভুলেই আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে সেভিয়া। যে গোলটিই শেষ পর্যন্ত দলটির হারের কারণ হয়েছে। মূলত লামিনে ইয়ামালের হেড ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান রামোস।জয়টা বড় ব্যবধানে না এলেও এই ম্যাচে দলের খেলা নিয়ে আনন্দিত বার্সা কোচ জাভি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সেল্টার বিপক্ষে ভালো ছিলাম না। খেলা ও আগ্রাসী মনোভাব—কোনো দিক থেকেই ভালো করিনি। তবে আজ আমি সন্তুষ্ট। চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে মাঠে নামার আগে আমরা এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছি বলেও মনে করি। আমরা ভালো খেলেছি।’যার আত্মঘাতী গোলে বার্সার এই জয়, সেই রামোসের সঙ্গে দীর্ঘ সময় সতীর্থ ও প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে খেলেছেন জাভি। রিয়াল-বার্সার ম্যাচে দুজন যেমন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, আবার স্পেনের হয়ে দুজন লড়েছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। তাঁকে নিয়ে জাভি বলেছে, ‘সে একজন অসাধারণ ডিফেন্ডার। এই বয়সে সে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল খেলছে, অনেক কৃতিত্বই তার প্রাপ্য। সে একজন পেশাদার। গোলটা তার জন্য দুঃখজনক। তবে আমাদের লাভ করেছে। এটাই জীবন, ফুটবলই জীবন।’