উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার এক রুদ্বদ্বার জরুরি বৈঠকে বসে। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্ররা একে বড় ধরনের হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছে।
জাতিসংঘে ফরাসী রাষ্ট্রদূত ডি রিভিয়েরে এ খবর জানিয়ে বলেছেন, এ বিষয়ে সকলের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সকলে উত্তর কোরিয়ার এ পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছি। এটি শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যে বড় ধরনের হুমকি এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের স্পষ্ট লংঘন।
রিভিয়েরে আরো বলেন, আমাদের অবশ্যই রাজনৈতিক আলোচনা প্রয়োজন। দরকার এর রাজনৈতিক সমাধান। তবে এর পূর্বশর্ত হিসেবে উত্তর কোরিয়াকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে সম্মত হতে হবে।
তিনি বলেন, এটি অস্ত্র বিস্তার রোধ মেনে চলা অঞ্চলের জন্যে হুমকি। এ পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশি দেশ দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং এমনকি বিশ্বের জন্যেও হুমকি।
তিনি নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে সম্মত হয়ে আলোচনা পুনরায় শুরুর জন্যে উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।
লন্ডন থেকে এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে এবং একে নিরাপত্তা পরিষদের স্পষ্ট লংঘন বলে উল্লেখ করেছে।
এ দিকে বুধবার দিনের প্রথম দিকে দক্ষিণ কোরিয়া সাবমেরিন থেকে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এর পর উত্তর কোরিয়া সমুদ্রে আরো দুটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। অবস্থাদৃষ্টে পর্যালোচকরা বলছেন, এখনও কৌশলগত যুদ্ধে লিপ্ত এ দু’টি দেশ যেন অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
জাতিসংঘের কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
কিন্তু উত্তর কোরিয়ার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এ ছাড়া দেশটি বিশেষ করে ২০১৭ সাল থেকে বড় ধরনের অর্থনৈতিক অবরোধেরও শিকার। কারন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার ব্যালাস্টিক ও পরমাণু অস্ত্রের সক্ষমতা সীমিত রাখতে।