দুই মাসের মধ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগ খাতের একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এর মধ্যে মেট্রোরেল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন এবং পদ্মা সেতুর রেলসংযোগের মতো সরকারের অগ্রাধিকারভুক্ত (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্প রয়েছে। তেমনি আছে ঢাকার যানজট নিরসনে নেওয়া উড়ালসড়ক (একাংশ) এবং দেশে নদীর তলদেশে নির্মিত প্রথম টানেল প্রকল্পও।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, ঢাকায় দ্রুতগতির উড়ালসড়কের (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ চালু করা হবে আগামী ২ সেপ্টেম্বর। মেট্রোরেলের লাইন-৫ (নর্দার্ন রুট)-এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হবে ১৬ সেপ্টেম্বর।
বর্তমানে মেট্রোরেলের লাইন-৬-এ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করছে। আগামী ২০ অক্টোবর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ চালু করা হবে।
২২ অক্টোবর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে ১৪০টি সেতু, ১২টি ওভারপাস ও যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র (ভিআইসি) উদ্বোধন করা হবে। আর ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
সব কটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন বলে কথা রয়েছে। এসব কর্মসূচির দিন ঢাকা, সাভার ও চট্টগ্রামে সুধী সমাবেশে বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে চারটি প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে। যদিও কোনোটিরই দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। প্রকল্পগুলো হলো ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন চালু, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন উদ্বোধন ও খুলনা-মোংলা রেলপথ চালু।