নিষিদ্ধ বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিকেকে এর স্থাপনা লক্ষ্য করে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বেশ কয়েক দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। এই হামলায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অনেক জঙ্গিকে হত্যা বা নিউট্রালাইজড করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
তুর্কি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সামনে আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এই হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ইরাকের গারা, হাকুরক, মেতিনা এবং কান্দিলের পিকেকে সংশ্লিষ্ট ২০টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করা হয়েছে। তুর্কি প্রতিরক্ষা দপ্তর বলছে, পিকেকে-এর ব্যবহৃত গুহা, ডিপো এবং বাঙ্কারকে লক্ষ্য করে এই বিমান হামলা চালানো হয়।
পিকেকে সমর্থিত কুর্দি সংবাদমাধ্যম গুলো বলেছে, ইরান সীমান্তের কাছে মাউন্ট কান্দিলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। এলাকাটিকে পিকেকে-এর শক্ত ঘাঁটি বলে ধারণা করা হয়।
তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল, পিকেকে সন্ত্রাসী এবং তাদের ঘাঁটি গুলোকে ধ্বংস করা, আমাদের জনগণ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে উত্তর ইরাক থেকে হওয়া সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করা এবং আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এর আগে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় রোববার(১ অক্টোবর) আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় দুই সন্ত্রাসী। ওই বোমা হামলায় পিকেকে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবনের সামনে এই আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়।
কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচিত।