অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
খেলা সর্বশেষ

ইমেজ পুনরুদ্ধারে বিকেএসপি

বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ছিল বিকেএসপি কর্মকর্তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো। দেশের সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে এক বছর নিষিদ্ধ, ১ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা, চার ফুটবলারকে ছয় ম্যাচে বহিষ্কার, দুই কোচকে এক বছর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানা কারায় ইমেজ সংকটে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।

রোববার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পরই বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনোয়ার সাদাত আবু মো. ফুয়াদ (পিএসসি) ইমেজ পুনরুদ্ধারে উঠে পড়ে লাগেন। বাফুফে শৃঙ্খলা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে শাস্তির বিরুদ্ধে সোমবার আপিল করেন তারা। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্দে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকরের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে আপিলের নথিতে। বিকেএসপির সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপরাধে চাকরি হারাতে পারেন কোচ রবিউল ইসলাম।

ঢাকা তৃতীয় বিভাগের দল চকবাজার কিংস ক্লাব গত মে মাসে বিকেএসপির সঙ্গে চুক্তি করে তাদের ফুটবলারদের তাদের পক্ষে লিগে খেলাবে। চুক্তি অনুযায়ী তৃতীয় বিভাগ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল লিগে চকবাজারের হয়ে অংশ নেন বিকেএসপির নাইমুর রহমান, হাসান মিয়া ও মো. জিফাত। মিথ্যা তথ্য দিয়ে নাইমুর রহমান নামে তাসিন, হাসান মিয়া নামে রিদুয়ান ও মো. জিফাত নামে রিফাত অংশ নেন। এ ছাড়া বিকেএসপির অনুমোদন না নিয়ে গোপনে আরও এক ফুটবলার ইকরামুলকে খেলান কোচ রবিউল ইসলাম। অথচ এই চার ফুটবলারকে জালিয়াতি করে দ্বিতীয় বিভাগ লিগে বিকেএসপির পক্ষে খেলান কোচ রবিউল। নাইমুর রহমান, হাসান মিয়া ও মো. জিফাতের ব্যাপারে বাফুফে আপত্তি জানালে রোববার ম্যাচ খেলাতে পারেনি। কিন্তু গোপনে ছাড়পত্র নিয়ে ইকরামুলকে দ্বিতীয় বিভাগের ম্যাচে খেলায়। প্রতিপক্ষ আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ম্যাচ শেষে লিখিত আপত্তি জানালে তদন্ত করে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তি দেয় বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটি। বিকেএসপিকে শাস্তি দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে বাফুফে মিডিয়া ম্যানেজার নওমি বলেন, ‘যেহেতু জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকে বিকেএসপির এবং লিগে খেলছেও বিকেএসপি, তাই প্রতিষ্ঠানকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

নিষিদ্ধ দুই কোচ শাহিনুর হক ও রবিউল ইসলামকে সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিকেএসপি। বাফুফেতে আপিল করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কার্যক্রমও শুরু করেছে তারা। বিকেএসপির মহাপরিচালক ফুয়াদ বলেন, ‘বিকেএসপি একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান এবং এ প্রতিষ্ঠান কোনো অন্যায় করেনি। আমাদের সবার অগোচরে সবকিছু করেছে কোচ রবিউল। যেটা ফুটবলের চিফ কোচ শাহিনুরও জানেন না। যদিও চকবাজার কিংস ক্লাব প্লেয়ার্স লিস্টে প্রধান কোচ হিসেবে শাহিনুরসহ একজন ফিজিওর নামও রেখেছিল। অথচ শাহিনুর মাঠে ছিলেন না। কিন্তু বাফুফে শৃঙ্খলা কমিটি মনে করছে, রবিউলের সঙ্গে বিকেএসপির ফুটবল চিফ কোচও জড়িত। বাফুফের কথা হলো, তৃতীয় বিভাগে এ রকম একটা ঘাপলা হয়েছে, যেটা জানার পরও শাহিনুর ব্যবস্থা নেননি। এ ছাড়া তিনজনের বিরুদ্ধে আপত্তি দেওয়ার পরে চতুর্থজনকে কেন খেলানো হলো। আমরা শক্তভাবে আপিল করেছি, চিফ কোচ শাহিনুরও করেছেন। আমার বিশ্বাস, বিকেএসপি এবং শাহিনুরকে শাক্তি মুক্ত করা হবে।’

রবিউল ইসলাম বিকেএসপির কোচ হওয়া সত্ত্বেও চকবাজার কিংস ক্লাবের স্বার্থে কাজ করেছে এবং তথ্য গোপন করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিকেএসপির মহাপরিচালক।

তবে অভিযুক্ত চার ফুটবলাকে বহিষ্কার করার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি। কারণ হিসেবে বলেন, ‘ছেলেগুলো অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ক্লাব এবং রবিউল মিলে ছাত্রদের বয়স বাড়িয়ে খেলিয়েছে। কোচ যেভাবে বলেছে, ছাত্ররা তাই করেছে। এই ভুল তারা করেনি।’

এদিকে বিকেএসপিকে ফুটবল থেকে এক বছর নিষিদ্ধ করার খবর ভুলভাবে গেছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে। বিকেএসপির একজন ফুটবল কোচ জানান, অভিভাবকরা মনে করছেন, বিকেএসপি এক বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারা ফোনে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। আমরা কতজনকে বোঝাব এ রকম কিছু ঘটেনি। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ফুয়াদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ রকম ঘটনার কথা শুনেছি। কোনো কোনো অভিভাবক ফোন করছেন। আমি সবাইকে আশ্বস্ত করছি, বিকেএসপি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, এটা বন্ধ হবে না।’ মহাপরিচালক বিস্তারিত কথা বললেও ফুটবলে নিষিদ্ধ দুই কোচ ফোন ধরেননি।

সম্পর্কিত খবর

পরিবেশ রক্ষায় টেকসই উন্নয়ন অর্জনে প্রকৃতিভিত্তিকি সমাধানের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী 

gmtnews

নেট রানরেট বাড়ানোর লক্ষেই অনেক ছক্কা মেরে দ্রুত ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছেন ফখর

Shopnamoy Pronoy

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা নাই: আইএমএফ

Zayed Nahin

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত