পূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধক্ষেত্রের কাছে, ইউক্রেনের শহর ডনেটস্ক-এর পশ্চিমে অবস্থিত একটি শহরে রুশ হামলায় ১৩ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার দিনের শুরুর দিকে স্থানীয় একজন কর্মকর্তা একথা জানান।
কুরখোভ শহরের প্রশাসনিক প্রধান রোমান পাদুন সরকারি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান সাসপিলন-কে বলেছেন, শহরে দুটি বিমান হামলার ফলে আগুন ধরে যায়।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের বাহিনী ক্রিমিয়াতে একটি রুশ বিমান ঘাঁটিতে আঘাত করেছে। এই বিমান ঘাাঁটি, রাশিয়ার দখল করা উপদ্বীপে রুশদের স্থাপিত একটি কার্যালয়।
খেরসনের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেক্সান্ডার প্রোকুদিন বলেন, রুশ হামলায় একটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দুজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন পাঁচজন।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্গেই পপকো টেলিগ্রামে বলেছেন, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে গুলি করে ভূপাতিত করায়, ইউক্রেনের রাজধানীতে এগুলোর ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, এতে সাতজন আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ইউক্রেনে, খারকিভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ বলেন, খারকিভ শহরে অন্তত ছয়টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে এবং এতে বেসামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়া বলেছে, তারা ক্রিমিয়া উপদ্বীপ এবং নিকটবর্তী কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের ১৯টি ড্রোন ধ্বংস করেছে।
বৃহস্পতিবার পোল্যান্ড বলেছে, তারা ইউক্রেনকে কেবল আগে সম্মত হওয়া গোলাবারুদ এবং অস্ত্র সরবরাহ করবে।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দেয়ার একদিন পর সরকারের মুখপাত্রের পক্ষ থেকে এমন বিবৃতি এসেছে। মাতেউস মোরাউইকি বলেছিলেন, পোল্যান্ড নিজেদের ‘সর্বাধুনিক অস্ত্র দিয়ে’ সজ্জিত করতে কাজ করছে বলে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পোল্যান্ডের কৃষকদের রক্ষা করার লক্ষ্যে দেশটি ইউক্রেন থেকে শস্য আমদানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর পর থেকে পোল্যান্ড এবং ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেন, শস্য নিষেধাজ্ঞা অবসানের জন্য একটি চুক্তির করতে পোল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।