ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলোর নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনসিয়ে তিরিঙ্ক বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন সাংবাদিকদের সাক্ষাতের বিষয়ে ব্রিফ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিবাসন, যোগাযোগ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে।
রাষ্ট্রপতি এসডিজি অর্জনে সহযোগিতা প্রদান করায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি ধন্যবাদ জানান এবং আগামী দিনেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদান করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে ইউনিয়ন মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদায়ী দূত করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনকালে সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।