ব্যাট-বোলিংয়ে দুর্দান্ত নৈপুন্যে জয় দিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজ শুরু করলো স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
ব্রিজবেনে সিরিজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অসিরা।
প্রথম ইনিংসে ২৭৮ রানে পিছিয়ে পড়ে ডেভিড মালান ও অধিনায়ক জো রুটের ব্যাটে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছিলো ইংল্যান্ড। মালান ও রুটের ব্যাটিং নৈপুন্যে তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ২২০ রান করেছিলো ইংলিশরা। এমন অবস্থায় ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ৫৮ রানে পিছিয়ে ছিলো ইংল্যান্ড। সঙ্গত কারণে চতুর্থ দিন টেস্ট জমিয়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মালান ও রুট।
কিন্তু চতুর্থ দিন ইংল্যান্ডের পরিকল্পনাকে ওলট-পালট করে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লিঁও। সাথে প্যাট কামিন্স ও ক্যামরুন গ্রিনও।
অসি বোলিং আক্রমনে ২ উইকেটে ২২০ রান দিয়ে চতুর্থ দিন খেলতে নামা ইংল্যান্ড ২৯৭ রানে অলআউট হয় । মাত্র ৭৭ রানে শেষ ৮ উইকেট হারায় ইংলিশরা।
মালান ৮০ ও রুট ৮৬ রানে দিন শুরু কওে । আজ চতুর্থ দিন মালানকে ৮২ রানে থামান লিঁও, আর রুটকে ৮৯ রানে শিকার করেন গ্রিন।
মালানকে আউট করে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৪শ উইকেট পূর্ণ করেন লিঁও। বিশে^র ১৭তম ও অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বোলার হিসেবে এই টেস্ট ক্রিকেটে মাইলফলক স্পর্শ করেন লিঁও।
দিনের শুরুতেই ৯ রানের ব্যবধানে মালান-রুটকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পথ সহজ করেন লিঁও ও গ্রিন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৬১ রানে ২ উইকেট পতনের পর তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁেধ ১৬২ রান তুলেন মালান ও রুট। ২২৯ রানের মধ্যে মালান-রুটের বিদায়ের পর কোন ব্যাটার শক্ত হাতে দলের হাল ধরতে না পারায় ২৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। এতে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ২০ রানের টার্গেট দিতে পারে ইংল্যান্ড।
পরের দিকে ইংল্যান্ডের পক্ষে বেন স্টোকস ১৪, ওলি পোপ ৪, জশ বাটলার ২৩ ও ক্রিস ওকস ১৬ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার লিঁও ৯১ রানে ৪ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া কামিন্সের এবার শিকার ছিলো ২টি। এছাড়া গ্রিন ২টি ও স্টার্ক-হ্যাজেলউড ১টি করে উইকেট নেন।
২০ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে মাত্র ৩১ বল খরচ হয় অস্ট্রেলিয়ার। নিয়মিত ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের ইনজুরির কারনে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ইনিংস শুরু করেন উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। তার সঙ্গী ছিলেন মার্কাস হ্যারিস।
দলীয় ১৬ ও ব্যক্তিগত ৯ রানে ক্যারিকে বিদায় দেন ইংল্যান্ডের পেসার ওলি রবিনসন। এরপর মানার্স লাবুশেনকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন হ্যারিস। হ্যারিস ৯ ও লাবুশেন শুন্য রানে অপরাজিত থাকেন। প্রথম ইনিংসে ১৫২ রান করায় ম্যাচ সেরা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর অ্যাডিলেডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। টেস্টটি দিবা-রাত্রির।