বাংলাদেশে যত দিন আওয়ামী লীগ থাকবে তত দিন পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বাঙালির অতীত ইতিহাসের ঐতিহ্য যা কিছু আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার সঙ্গে এখনো যুক্ত আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। পহেলা বৈশাখের সঙ্গে সংঘাত যাদের, তারা সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে। এই অশুভ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। ১৪ এপ্রিল সকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবৃক্ষ বাংলাদেশে ডালপালা ছড়িয়েছে, আজকের দিনে শপথ নিতে হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে, সাম্প্রদায়িকতার সেই বিষবৃক্ষকে আমরা উৎপাটন করব। এটিই হোক আজকের দিনের অঙ্গীকার। এখানে কোনো আপস নেই। আমাদের চেতনা বাংলাদেশের জনগণের চেতনা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা। আজকের বাংলাদেশে আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি, আমাদের প্রধানতম শত্রু হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। কাদের বলেন, আজ যারা পহেলা বৈশাখ বিশ্বাস করে না, তারাই সাম্প্রদায়িক। তাদের তত্ত্ব সাম্প্রদায়িকতা, তাদের তত্ত্ব দ্বিজাতিতত্ত্ব, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। আজকের দিন একদিকে আমাদের আত্মপরিচয় অনুসন্ধানের দিন, আরেক দিকে অসাম্প্রদায়িকতার মর্মবাণী প্রচারের দিন। বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্যের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আগেও ছিল, এখনো আছে এবং থাকবে। এখানে কোন দল পালন করল, কোন দল পালন করল না, তা বিবেচ্য বিষয় না। যত দিন আওয়ামী লীগ থাকবে, তত দিন এই দেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন হবে। পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে সারা বাংলাদেশে আজকে নবজাগরণের ঢেউ উঠেছে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের আবেগের, অস্তিত্বের ঠিকানা পহেলা বৈশাখ। নববর্ষ ও আসন্ন ঈদ- এই দুই উৎসবে সারা দেশে যে লেনদেন হবে, যে বাণিজ্য হবে তা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। নববর্ষ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।