পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার বিকেলে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো এল পি মারসুদি’র সাথে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এ অনুরোধ জানান।
এ সময় ইন্দোনেশিয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশী প্রার্থীর প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ও আসিয়ান (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যমান সম্পর্ক অধিকতর জোরদার করার পরামর্শ দেন।
আলোচনাকালে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার ব্যাপারে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করে এই সম্পর্ক আরো গভীর ও বহুমুখী করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় ড. মোমেন দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য অধিকতর সম্প্রসারণের লক্ষে প্রস্তাবিত দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) দ্রুত সম্পন্ন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি চলতি বছরেই এই চুক্তি করতে চান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় আমদানি বাড়িয়ে দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই ইন্দোনেশিয়ার সাথে ভ্রাতৃত্বমূলক ও হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক অব্যহত রয়েছে।
এ সময় উভয় মন্ত্রী এ বছর দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বর্ষপূর্তি যথাযোগ্যভাবে উদযাপনের ব্যাপারে একমত হন।
রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সমর্থন প্রদান করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে ইন্দোনেশিয়ার কাছ থেকে রাজনৈতিক সমর্থন চান।
তিনি এই বিলম্বিত সংকটের একটি টেকসই ও স্থায়ী সমাধানে ইন্দোনেশিয়া ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর অব্যহত সমর্থন চান।
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান জোরদার হওয়ায় মারসুদি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন।