কাতারে তালেবানের দপ্তরের মুখপাত্র সোহাইল শাহিন সোমবার কাতারের স্কাই নিউজে বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন তথা বিদেশি সেনা প্রত্যাহারে বিলম্বের জন্য আমেরিকাকে মূল্য দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিলম্ব সহ্য করা হবে না।
সোহাইল আরও যোগ করেন, ‘উদ্ধারের জন্য আমেরিকা বা ব্রিটেন যদি বাড়তি সময় চায়, তাহলে উত্তরটা হবে- না। বরং এর ফল ভুগতে হবে। তার ফলে আমাদের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি হবে। মনে হবে যে ওরা (আমেরিকা এবং ব্রিটেন) জবরদখল চালিয়ে যেতে চায়, ফলে আমাদের পক্ষ থেকে সেটির প্রতিক্রিয়াও হবে”।
জি-৭ শীর্ষ বৈঠকের আগেই সেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালিবান। শিল্পোন্নত ৭টি দেশের জোট জি-৭ নেতারা ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছেন।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বৈঠকে কাবুল বিমানবন্দর থেকে উদ্ধারের বিষয়ে আলোচনা করা হতে পারে। বিশেষত সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না শেষ আমেরিকানকে উদ্ধার করা হচ্ছে, ততক্ষণ আফগানিস্তানে থাকবে মার্কিন সেনা।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ সতর্ক করে বলেছে, যারা আফগানিস্তান ছাড়তে চায় তাদের সবাইকে স্থানান্তরিত করা পূর্ব ঘোষিত সময়ের মধ্যে সম্ভব নয়।
এদিকে দেশ ছাড়ার জন্য যেভাবে আফগানরা কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় জমাচ্ছেন, সেই বিষয়টিকে তালেবানি শাসনের ভয়ে দেশত্যাগ হিসেবে দেখতে রাজি নয় সোহাইল ।
তার দাবি, ‘এটা উদ্বেগ বা ভয় পাওয়ার বিষয় নয়। ওরা পশ্চিমা দেশে থাকতে চায়। এটা আর্থিক স্থানান্তর বলা যেতে পারে। কারণ আফগানিস্তান দরিদ্র দেশ। ৭০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে। ভালো জীবনের আশায় সবাই পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকতে চায়। এখানে ভয় পাওয়ার কোনও বিষয় নেই।’