অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ রাজনীতি

আমার আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার চাওয়া-পাওয়ার আর কিছু নেই। যেদিন দেশে এসেছিলাম সেদিন বুঝেছিলাম বাংলার মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে। শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা অল্প সময়ের মধ্যেই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সংবিধান দিয়েছেন, রেল সেতু, সড়ক সেতু পুনর্নির্মাণ করেছেন। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়। তখন বিদেশে ছিলাম। বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। ছয় বছর পর দেশে এসেছি। বাংলাদেশের জনগণের ওপর ভরসা করে ফিরে এসেছিলাম। এরপর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছি। প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা ও উদ্বোধন করা মোট ১০৩টি প্রকল্পের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘এ উন্নয়নগুলো হলো। অসমাপ্ত কিছু কাজ ধীরে ধীরে হবে। আপনারা এগুলো দেখেশুনে রাখবেন। আরো কাজ করে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক কিছু করা গেল না।’ তিনি বলেন, ‘সরকার প্রতিটি বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেবে। ময়মনসিংহেও মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় হবে। করোনার সময় বিনা মূল্যে ভ্যাসকিন দিয়েছি, যা অনেক উন্নত দেশও সক্ষম হয়নি। বিএনপি-জামায়াত প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ছিল বিএনপি-জামায়াতের কাজ। এদের আমলেই ময়মনসিংহের চার সিনেমা হলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সব সময় অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগীদের দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করে। দেশে লুটপাট ও ধ্বংসের রাজনীতি চালু করে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ধ্বংস করে। আর আওয়ামী লীগ করে উন্নয়ন। বর্তমানে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। কেউ অন্ধকারে থাকবে না। থাকবে না কেউ গৃহহীন। কোনো ভূমিহীনও দেশে থাকবে না। আওয়ামী লীগ সরকার সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। সামনের দিনে এ কাজ অব্যাহত থাকবে। বিএনপির আমলে দেশে ৪১ ভাগ দারিদ্র্যের হার ছিল। এখন সেটি ২০ ভাগে নেমে এসেছে।’

 

সম্পর্কিত খবর

শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস পালিত

News Editor

চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছে জাতীয় সংসদ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

gmtnews

১০ ডিসেম্বর কেন বিএনপির সমাবেশ, সেটি বড় প্রশ্ন: তথ্যমন্ত্রী

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত