ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের রকেট হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, এ কঠিন সময়ে আমরা (ভারত) ইসরায়েলের পাশে আছি।
শনিবার এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় মোদি এ কথা বলেন। মোদি লিখেন, ‘ইসরায়েলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার খবর শুনে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি। নিরীহ ভুক্তভোগী ও তাঁদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি। এ কঠিন সময়ে আমরা ইসরায়েলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি, পাশে আছি।’
ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটসহ বিশ্ব নেতাদের অনেকেই। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও এ হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস শনিবার সকালে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালায়। এর পর নির্বিচারে পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ২৫০ ছুঁয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৫০০ মানুষ। অন্যদিকে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজা উপত্যকায় প্রাণ গেছে অন্তত ২৩২ জন ফিলিস্তিনির। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১ হাজার ৭৯০ জন।
ইসরায়েলের কাছে হামাসের এমন হামলা ছিল অনেকটা অপ্রত্যাশিত। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা সীমান্ত সংলগ্ন ২২টি এলাকায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের লড়াই চলছে।
ইসরায়েলের জনগণের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি। এ যুদ্ধে আমরাই জিতব।’
সার্বিক পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করে রোববার সব স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।
দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘আজ যা ঘটেছে, ইসরায়েলে এমনটা আগে ঘটেনি। তবে আমি এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, এমনটা আর কখনোই ঘটবে না। যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, হামাস সদস্যদের খুঁজে বের করে প্রতিহত করা হবে।’
অন্যদিকে হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরোওরি বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন হামাস সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।