বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যে আজ ১৯ জুলাই সোমবার পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। এমন মধুর ধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে পবিত্র আরাফাতের পাহাড়ঘেরা ময়দান ছাপিয়ে আকাশ-বাতাস মুখর ও প্রকম্পিত হবে আজ।
গত বছরও হজ পালনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা ছিল। এবারও লোকজনকে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই হজ পালন করতে হচ্ছে।
আরব নিউজ ও আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এ বছরও সৌদি আরবের বাইরে থেকে কোনো হজযাত্রীকে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। সৌদি আরবে বাস করা দেশটির নাগরিক ও বিদেশি বাসিন্দাদের মধ্য থেকে ৬০ হাজার ব্যক্তি হজ করার অনুমতি পেয়েছেন। শুধু ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সি সৌদি নাগরিক এবং দেশটিতে বাস করা ১৫০ দেশের নাগরিক হজ করার সুযোগ পেয়েছেন। সবাই দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। গতবারও বিধিনিষেধের মধ্যে ১ হাজার মুসলিমকে হজ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
পবিত্র হজ পালন করতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে মিনায় পৌঁছেছেন। গতকাল রবিবার ফজরের নামাজের পর তাঁরা ইহরাম বাঁধেন। সে অবস্থায় তাঁরা মিনার তাঁবুতে গিয়ে অবস্থান করেন। আজ সোমবার ভোর থেকে ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে গিয়ে তাঁরা সমবেত হবেন। দিনটিকে বলা হয় আরাফাত দিবস। মুসলমানরা এ দিনকে মূল হজ বলে থাকেন। এই আরাফাতের ময়দানে দাঁড়িয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।
ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে এবার হজে অংশগ্রহণকারী মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশে খুতবাহ দেবেন শায়খ ড. বানদার বিন আবদুল আজিজ বালিলাহ। এ বছর সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ রাজকীয় ফরমানে তাকে আরাফাতের মহান দিনে খুতবা দেওয়ার জন্য অনুমোদন দেন।
আরাফাতের ময়দানে অবস্থান হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা (ফরজ)। এরপর কুরবানিসহ কিছু আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শেষ হবে পবিত্র হজ।