করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশব্যাপী গণটিকাদান কার্যক্রম আজ শনিবার শুরু হচ্ছে। কর্মসূচি আগেই ঘোষণা করা হলেও এরই মধ্যে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রথমে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঘোষণা করা হলেও তা দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি কমিয়ে ৩২ লাখ করা হয়েছে।
সারাদেশে বয়স্ক জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে এই গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হবে।
এর আগে গণটিকাদান কর্মসূচি ঘোষণার সময় এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। তবে, বর্তমানে সেই সংখ্যা কমিয়ে ৩২ লাখে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়াও এর আগে বলা হয়েছিল, ১৮ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এই কর্মসূচি আওতায় সারাদেশে চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে একযোগে করোনার টিকা দেয়া হবে।
আজ ৭ই আগষ্ট থেকে ৯ই আগস্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় এবং ৮ ও ৯ই আগস্ট ইউনিয়ন ও পৌরসভার বাদ পড়া ওয়ার্ডে টিকাদান কর্মসূচি চলবে। দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৮ ও ৯ই আগস্ট ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম চালু থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ই মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।
এর আগে একই বছরের ২০শে জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)।
একটি মন্তব্য করা হয়েছে
[…] রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আজ মঙ্গলবার থেকে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু […]