প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছেন, তাঁর সরকার দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের উন্নত জীবন মান নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছি, সেটা বাস্তবায়ন করতে চাই’ তিনি মন্ত্রণালয় এবং বিভাগসমূহের ২০২২-’২৩ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসামানী স্মৃতি মিলনায়তনের মূল অয়োজনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা রাজনীতি করি দেশের জনগনের জন্য। আমার নির্বাচনে অংশগ্রহণকালে ঘোষণা করা দলের র্নিাচনী ইততেহারে দেশকে আর্তসামাজিকভাবে এগিযে নিয়ে যাবার কর্মপরিকল্পনা থাকে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যথনই ক্ষমতায় এসেছে এবং বাজেট প্রণয়ন করেছে, তখন তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারটা সামনে রেখে কতটুকু তার বাস্তবায়ন হয়েছে এবং কতটুকু করতে হবে, তা ধরেই সবসময় কর্মনির্ধারণ করে থাকে, এক্ষেত্রে দলের জন্যও পৃথক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাঁর সরকার আশু, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং দীর্ঘ মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় করণীয় নির্দিষ্ট করে থাকে।
২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী তার সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে তুলে আনতে সক্ষম হয়েছে এবং কারোনাভাইরাসের আগ্রাসনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে। পাশাপাশি জাতির পিতার চালু করে যাওয়া গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের অনুসরণে দেশের সকল গৃহহীণকে ‘মুজিববর্ষে’ বিনামূল্যে একটি ঘর করে দেয়ার পকিল্পনা বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদনে সাফল্য অর্জনকারি মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ এবং ব্যক্তি বিশেষের মাঝে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন পুরস্কার ২০২২’ ও ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২২’ প্রদান করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দোকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বার্ষিক কর্মসম্পাদনে শীর্ষ স্থান অর্জন করে। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কৃষিমন্ত্রণালয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
এরআগে, সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের সচিব এবং সিনিয়র সচিববৃন্দ নিজ নিজ দপ্তরের পক্ষে চলতি বছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরে একে একে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর হাতে তা তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ওপর একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শন করা হয়।