ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বাংলাদেশের অবকাঠামো, রেলওয়ে, কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, স্বাস্থ্য সেবা, পর্যটন, অটোমোটিভ, তথ্য-প্রযুক্তি এবং এপিআই খাতে স্পেনের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো বেনিতেজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহবান জানান।
সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে রিজওয়ান রাহমান জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও স্পেনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশ প্রায় ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যার বিপরীতে আমদানির পরিমাণ ১৭৭ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রধানত তৈরি পোষাক খাতের পণ্য স্পেনে রপ্তানি করে থাকে, এছাড়াও বাংলাদেশে উৎপাদিত পাদুকা, কার্পেট, পাটজাত পণ্য, বাইসাইকেল, প্লাস্টিক ও ডেইরি পণ্য রপ্তানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো বেনিতেজ বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ উল্লেখজনক ভাবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং করোনা মহামারীতেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম চলমান ছিল, যা অনুসরণীয় একটি বিষয়। তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে তৈরি পোষাক খাতের আধিক্য থাকলেও স্বাস্থ্য সেবা, পর্যটন, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য, অবকাঠামো, রেলওয়ে এবং ভারী যন্ত্রপাতি প্রভৃতি খাতে দুদেশের বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণে যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তিনি জানান, ইউরোপীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে কৃষি পণ্য উৎপাদন ও এ বিয়ষক ব্যবসা-বাণিজ্যে স্পেন প্রথম অবস্থানে রয়েছে এবং বাংলাদেশের কৃষি খাতের আধুনিকায়ন ও উন্নত যন্ত্রপাতির ব্যবহার, কৃষি পণ্য বহুমুখীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে স্পেনের প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রতœতাত্বিক নির্দশনসমূহ সংরক্ষণ এবং এগুলোকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিকট আকর্ষনীয় করে তোলার লক্ষ্যে স্পেনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কাজে লাগানোর প্রস্তাব করেন।
ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এন কে এ মবিন, সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং স্পেন দূতাবাসের বাণিজ্যিক অ্যাটাশে ফ্রান্সিসকো খাবিয়ের ইয়েপেস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।