অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

সরকার পরিবর্তন হবে ভোটের মধ্য দিয়ে

নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে অগ্নিসন্ত্রাস চালানোর পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে। মানুষের ওপর যাদের আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই, দল হিসেবে সুসংগঠিত নয়, তারাই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের সম্পর্কে জনগণকে সচেতন থাকতে হবে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যেসব দল নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। আমরা চাই জনগণের ভোটাধিকার অব্যাহত থাকুক। শুধু ভোট ও নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করা যেতে পারে।

নির্বাচন বানচালের জন্য যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে, তাদের প্রতিহত করতে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। সুতরাং যারা সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বানচালের চেষ্টা করছে, তাদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

নির্বাচন বানচালে বিএনপি ও তার মিত্রদের অগ্নিসন্ত্রাস ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বানচাল একটি দেশের জন্য চরম ক্ষতির কারণ হতে পারে। কেউ যদি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে এবং অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে যায়, তাহলে তা তাদের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের মানুষকে নির্বাচিত করবে– যারা সংসদে বসবেন, আইন পাস ও রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। এটা হচ্ছে জনগণের অধিকার। জনগণের এই অধিকার যারা কেড়ে নিতে চেষ্টা করবে, অগ্নিসন্ত্রাস করবে, জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে। জনগণকে আমি সেই আহ্বানই জানাব।

নির্বাচন বানচাল ও সরকার পতনের নামে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে জীবন ও সম্পদের ক্ষতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জীবন ও সম্পত্তি ধ্বংস করা কোন ধরনের রাজনীতি? হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ ও কর্মকাণ্ড ধ্বংস করা হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আমোদ-ফুর্তি করে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা মনোনয়ন ফরম নিচ্ছেন, তারা সবাই যোগ্য। এতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রার্থী অনেক, কিন্তু প্রতিটি আসনে একজনকেই মনোনয়ন দিতে হবে। নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই করা মনোনয়ন বোর্ডের কাজ। প্রার্থী বাছাইয়ের আগে আমরা তৃণমূল পর্যায় থেকেও মতামত নেব।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটি সংগঠন, যে সংগঠনের জন্ম হয়েছিল দুঃখী মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে। শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য ১৯৪৯ সালে এ সংগঠনের জন্ম। জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ তার গঠনতন্ত্র মেনে চলে। দেশের সংবিধান মেনে চলে। প্রতিটি কাজ অত্যন্ত সুচারুভাবে করে। টানা তিন মেয়াদে তাঁর সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই ধারাবাহিকতার কারণে অভূতপূর্ব আর্থসামাজিক অগ্রগতি এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন সম্ভব হয়েছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়। ফরম সংগ্রহ করেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।

গণভবন থেকে সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন শেখ হাসিনা। তিনি মনোনয়ন ফরম বিক্রির বুথ পরিদর্শন করেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। মনোনয়ন ফরম বিক্রি উদ্বোধন শেষে তিনি বেলা সোয়া ১১টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান। আসা-যাওয়ার সময় হাজার হাজার নেতাকর্মী স্লোগান ও হাততালি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান নেতাকর্মীকে।

সম্পর্কিত খবর

জ্ঞান-বিজ্ঞান শিল্প-সংস্কৃতিতে বাঙালিরা অনেক এগিয়ে : তথ্যমন্ত্রী

gmtnews

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ার আহবান শিক্ষামন্ত্রীর

gmtnews

দুই জিম্মিকে ছাড়তে চেয়েছিল হামাস, ‘নিতে রাজি হয়নি’ ইসরায়েল

Hamid Ramim

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত