সেরা ফুটবলারের খেতাব ‘ব্যালন ডি’অর’ জিতলেন লিওনেল মেসি। এই নিয়ে সপ্তমারের মত পুরুষ বিভাগের ব্যালন ডি’অঁর খেতাবে ভুষিত হলেন আর্জেন্টাইন সুপার স্টার মেসি। সমস্যা সঙ্কুল একটি বছর কাটানোর পরও সপ্তম খেতাব প্রাপ্তির নেপথ্যে কোপা আমেরিকা জয়কেই এগিয়ে রেখেছেন মেসি। মহিলা বিভাগে শ্রেষ্ঠরত্বের খেতাব পেয়েছেন স্প্যানিশ তারকা আলেক্সিয়া পুটেলাস।
রবার্ট লিওয়ানদোস্কি ও করিম বেনজেমাকে পেছনে ফেলে সোমবার প্যারিসে জমকালো এক অনুষ্টানে সেরা ফুটবলারের খেতাব লাভ করেন ৩৪ বছর বয়সি মেসি। গত আগস্টে বাল্যকালের ক্লাব ছেড়ে আসা মেসি এখন প্যারিসকেই নিজের হোম সিটি বলে উল্লেখ করেছেন।
বার্সেলোনা থেকে অশ্রুসিক্ত বিদায় ও ফ্রান্সে কিছুটা ম্লান সুচনা সত্বেও বিশ্ব সাংবাদিকদের জুরিবোর্ড আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়ে কোপা আমেরিকা জয়ের স্বীকৃতি হিসেবে মেসিকে সেরার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৯৩ সালের পর কোপা ছিল আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক শিরোপা।
গত বছর করোনা মহামারির কারণে বর্ষ সেরা পুরস্কারের অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছিল। এর আগের বছর ২০১৯ সালের ব্যালন ডি’অঁর খেতাবটিও জয় করেছিলেন মেসি। এবারের খেতাব পাওয়ার পর আর্জেনটাইন সুপার স্টার বলেন,‘ দুই বছর আগে আমি মনে করেছিলাম বোধহয় আমি শেষ বারের মত এই পুরস্কারটি পেতে যাচ্ছি। তবে এখন আমি আবারো ফিরে এসেছি।’
এর আগে ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২ এবং ২০১৫ সালের ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন মেসি। তিন সন্তান ও স্ত্রী আঁতোনেলা রোকুজ্জোকে সঙ্গে নিয়ে মধ্য প্যারিসের চ্যাটেলেট থিয়েটারের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেসি বলেন,‘ সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করছিল কখন অবসরে যাব। তবে এখন আমি এখানে, আমি খুবই আনন্দিত। জানিনা কত বছর বাকী আছে, তবে আশা করছি সেটি খুব একটা কম হবে না। কারণ আমি সত্যিকার অর্থেই এই বছরটি উপভোগ করছি।
আর্জেন্টিনার হয়ে আমার অর্জন স্বপ্ন সত্যি হবার মত। আমার মনে হয় কোপা আমেরিকা জয়ের কারণেই আমি এই পুরস্কার পেয়েছি। তাই এ অর্জন আমি আর্জেন্টাইন সতীর্থদের উৎসর্গ করছি।’
রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জয় করেছিল আর্জেন্টিনা। দেশের হয়ে এটি ছিল মেসির সেরা অর্জন। বার্সেলোনায় নিজের শেষ বছরে ৪৮ ম্যাচে ৩৮ গোল করেছিলেন মেসি। একই বছর কোপা দেল রের শিরোপাও জয় করেন আর্জেন্টাইন সুপার স্টার।