অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণভাবে নিজ ভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৪ মার্চ) সংসদ ভবন কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আইনজীবী ডক্টর পায়াম আখভান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অবশ্যই তাদের নিজ ভূমিতে মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

শেখ হাসিনা কোনো ধরনের বিদ্রোহের জন্য কাউকে ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ এ নীতিতে বিশ্বাস করে এবং ভবিষ্যতেও কাউকে তা করতে দেবে না।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) প্রত্যাবাসন এখন সেখানকার (মিয়ানমার) অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে জটিল বলে মনে হচ্ছে।

রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের আগমনে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ এখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। তারা আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে।

রোহিঙ্গা যুবক-যুবতীদের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে তিনি বলেন, সরকার ভাসানচর দ্বীপে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে এবং এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন যে কিছু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এরই মধ্যে অস্ত্র, নারী ও মাদক পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য  বড় উদ্বেগের বিষয়।

শেখ হাসিনা জলবায়ু ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামতের জন্য আইসিজে-তে বাংলাদেশের আইনগত উপস্থাপনা প্রস্তুতে সহায়তার দায়িত্ব নেয়ায় ড. পায়ম আখভানকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় ড. পায়ম আখভান প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশ এখন জলবায়ু ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে বিশ্বনেতা হয়ে উঠেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো ওপর নির্ভর না করে বাংলাদেশ কপ-১৫ এর পর জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে।

তিনি বলেন, এছাড়াও বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চল সুরক্ষার জন্য অভিযোজন ও প্রশমন বিশেষ করে গ্রিন বেল্টের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত খবর

বার্সেলোনা ছাড়ছেন লিওনেল মেসি

News Editor

বিএনপি মাঠে নামিয়েছে বিবৃতিজীবী, কূটনীতিকদের: ওবায়দুল কাদের

gmtnews

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩০৩ জন হাসপাতালে ভর্তি

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত