চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, মানবজাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রভাব রয়েছে। বেইজিং সফররত মার্কিন সিনেটের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে গতকাল সোমবার তিনি এ কথা বলেন। চীন সফরকারী সর্বশেষ শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কর্মকর্তা হলেন সিনেট মেজরিটি লিডার চাক শুমার। তিনি ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এমন সময় প্রতিনিধিদলটি এই সফর করছে, যখন বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করতে চাইছে ওয়াশিংটন।
বেইজিংয়ের গ্রেট হলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চাক শুমারকে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পরিবর্তনশীল ও অস্থিতিশীল বিশ্বে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলবে, সেটা মানবজাতির ভবিষ্যৎ ও ভাগ্য নির্ধারণ করবে।’
সি বলেন, ‘আমি অনেকবার বলেছি, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কোন্নয়নের হাজারো কারণ রয়েছে, কিন্তু সম্পর্ক শেষ করে দেওয়ার একটি কারণও নেই। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন প্রেসিডেন্টকেও আমি এ কথা বলেছি।’ চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বিশ্বের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় চাক শুমার বলেন, ‘আমাদের দুই দেশ একসঙ্গে এই শতাব্দীর গতিপথ নির্ধারণ করবে। এ জন্য দায়িত্বশীলতা ও সম্মানের সঙ্গে অবশ্যই আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।’
এর আগে চাক শুমারের সঙ্গে বৈঠকে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই বলেন, বেইজিং ও ওয়াশিংটন আরও যৌক্তিকভাবে নিজেদের মধ্যকার মতপার্থক্য দূর করতে পারে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক ইতিবাচক ধারায় ফিরবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশ্ব ‘পরিবর্তনের অস্থিতিশীল সময়’ পার করছে উল্লেখ করে ওয়াং বলেন, এই সফরের পর চীন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র আরও সঠিক ধারণা পাবে বলে তিনি আশা করেন।
চীনের এই শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, ‘ইউক্রেন সংকট এখনো কাটেনি। মধ্যপ্রাচ্যে আবারও যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে আসা উচিত। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রেরও উচিত নিজেদের যথাযথ ভূমিকা রাখা।’