রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি এবং জার্মানির রাষ্ট্রদূত অচিম ট্রস্টার। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন নবনিযুক্ত দুই রাষ্ট্রদূত।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বঙ্গভবন প্রেস উইং এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নতুন দুই রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে এসে পৌঁছুলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার দেয়।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়া ও জার্মানির সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনে রাশিয়ার সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
এসময় মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা উল্লেখ করে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে রাশিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নতুন রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য রাশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থল জার্মানি। তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্যসহ বিভিন্ন খাতে জার্মানির সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকালে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে আশা করেন রাষ্ট্রপতি। এসময় রাষ্ট্রপতি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে জার্মান বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জার্মানির সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে জার্মান সরকার মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করছি।
এসময় নবনিযুক্ত দুই রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।