ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়ে একটি আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল। বিধ্বস্ত ভবন থেকে ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন।
রোববার (২২ অক্টোবর) গভীর রাতে জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরের আল-শুহাদা এলাকার ওই ভবনটিতে হামলা চালানো হয়।
সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান পরিচালক জানিয়েছেন, আমরা ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সঙ্কটে ভুগছি।
গাজা উপত্যকার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর একটি হলো জাবালিয়া শরণার্থীশিবির। এখানে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের বসবাস। এছাড়া রোববার রাতে গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা বাড়িয়েছে ইসরাইয়েলের বিমানবাহিনী।
এছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলের বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের হাসপাতাল সূত্রগুলো এই কথা জানিয়েছে।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। সে সময় অন্তত ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এরও আগে গত ৯ অক্টোবর একই শরণার্থীশিবিরে বোমা হামলা চালায় দখলদার বাহিনী।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার অতিক্রম করেছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।