কেউ না রাখলেও টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আফগানিস্তানকে সেমিফাইনালের কাতারে রেখেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। পরে তাকে সত্যিও প্রমাণ করেন রশিদ খানরা।
কিন্তু সেমিফাইনালে সেই লারার নামকৃত স্টেডিয়ামেই ভরাডুবি হলো আফগানদের। লড়াই তো দূরের কথা প্রোটিয়াদের সামনে পাত্তাও পায়নি তারা। তাদের গুঁড়িয়ে উল্টো ইতিহাস লিখল দক্ষিণ আফ্রিকা।
আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে প্রোটিয়ারা। চোকার্স তকমা ঘুচিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটাই তাদের প্রথম ফাইনাল।
ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। প্রোটিয়া পেস তোপের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। সর্বোচ্চ ১৩ রান এসেছে অতিরিক্ত থেকে। দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল আজমতউল্লাহ ওমরজাই (১০)। এছাড়া বাকি সব ব্যাটার আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে থেকে। তাদের ব্যাটিং লাইন ধসিয়ের দেওয়ার শুরুটা করেন মার্কো ইয়ানসেন। ৩ ওভারে স্রেফ ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হন বাঁহাতি এই পেসার। তিনটি উইকেট নেন তাবরেইজ শামসিও। তবে তার আগে দুটি করে উইকেট ঝুলিতে যায় কাগিসো রাবাদা ও আনরিখ নরকিয়ার।
৫৭ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে তেমন কষ্ট করতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তবু চোকার্স হওয়ায় একটু ভয় তো ছিলই ভক্তদের মনে। কিন্তু সেই ভয়কে এবার সত্যি সত্যিই জয় করল প্রোটিয়ারা। শুরুতে কুইন্টন ডি ককের (৫) উইকেট হারালেও রিজা হেনড্রিকস ও অধিনায়ক এইডেন মারক্রামের ব্যাটে ঠিকই পৌঁছে যায় ফাইনালের ঠিকানায়। তাও ৬৭ বল হাতে রেখে। বলের হিসেবে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় জয়। অবিচ্ছিন্ন ৫৫ রানের জুটিতে হেনড্রিকস ২৯ ও মারক্রাম অপরাজিত ছিলেন ২৩ রানে।
এদিকে গায়ানায় দিনের অপর সেমিফাইনালে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টা মুখোমুখি হবে ভারত-ইংল্যান্ড।