ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বরাবরই রোমাঞ্চে ঠাসা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ যদি হয় বিশ্বকাপের মঞ্চে, তাহলে তো কথাই নেই। ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা পৌঁছে যায় তুঙ্গে।
সমর্থকদের বাড়তি আগ্রহ আবার সীমাহীন চাপ হয়ে জেঁকে বসে খেলোয়াড়দের ওপর। কারণ, বিশ্বকাপের এ ম্যাচকে মহামর্যাদার লড়াই হিসেবেই দেখে দুই দেশের মানুষ। সেখানে যেন হারের কোনো স্থান নেই! জিতলে যতটা না প্রশংসা মেলে, হারলে তার চেয়ে বহু গুণে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হয়।
সমর্থকদের সেই বাড়তি আগ্রহের চাপ গিয়ে পড়েছে এবার আহমেদাবাদে। আগামীকাল আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামেই যে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান। ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়াম বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া ভেন্যু।
মাঠে বাবর আজম-শাহিন আফ্রিদিদের চ্যালেঞ্জ আর গ্যালারিতে বিপুল সমর্থকের গগনবিদারী চিৎকার—সব মিলিয়ে চাপটা স্বাগতিক ভারতের ওপরই বেশি থাকবে।
রোহিত শর্মাও যেহেতু রক্ত-মাংসের মানুষ, তিনিও নিশ্চয় এই চাপ অনুভব করবেন।
আজ ম্যাচ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নের ভিড়ে চাপের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে।
রোহিত আগে একবার জানিয়েছিলেন, সমর্থকদের হইচই বন্ধ রাখতে পারলেই চাপমুক্ত যায়। সেটা ফোন বন্ধ রেখে বা টুইটারে না এসে করেন কি না, এ ব্যাপারে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে ভারতীয় অধিনায়ক বলেছেন, ‘গত ৯ মাসে আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করিনি। প্রত্যেকেরই এটা সামলানোর নিজস্ব উপায় আছে। কিছু মানুষ এটা পছন্দ করে, কিছু মানুষ করে না।’
তবে রোহিত চাপমুক্ত থাকার উপায় জানাতে অপারগতা জানিয়েছেন, ‘আমি কীভাবে করি (চাপ সামলাই), সেটা বলার জায়গা এটা নয়। আগেও অনেকবার বলেছি, এটি বড় ম্যাচ। কাল প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের পাচ্ছি, তারা মানসম্পন্ন দল। এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওদের বিপক্ষে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারা, যা গত দুই ম্যাচে করেছি। আশা করি, আমরা পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দেখাতে পারব।’
পাকিস্তানকে হারাতে বিশেষ কোনো ছক আঁকেননি বলেও জানিয়েছেন রোহিত, ‘এই ম্যাচ নিয়ে অত ভাবার দরকার নেই। প্রতি ম্যাচের আগে আমরা যেভাবে প্রস্তুতি নিই, সেভাবেই প্রস্তুত হচ্ছি। দলের সবার জন্য একই বার্তা থাকবে।’