অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
ক্রিকেট খেলা বিনোদন বিশ্ব সর্বশেষ

“নাজমুলকে তিনে দেখতে চাই, মিরাজকে মাহমুদউল্লাহর পরে” – নাজমুল আবেদীন

আজকের খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ—এই কথা আমরা বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ম্যাচের আগেই বলেছি। একেক ম্যাচের আগে প্রেক্ষাপট অবশ্য একেক রকম ছিল। তবে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের জন্য সীমাহীন গুরুত্বের। আজ যদি হেরে যায়, তাহলে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় আটের মধ্যে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে। তাই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে চাইলে আজ বাংলাদেশকে জিততেই হবে। তাতে হয়তো আটের মধ্যে থাকার পথ খোলা থাকবে।

প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের অবস্থা প্রায় বাংলাদেশের মতোই। বিশ্বকাপজুড়েই প্রত্যাশামতো পারফরম্যান্স করতে পারেনি তারা। দুই দলের মধ্যেই অনিশ্চয়তা, দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। পাকিস্তান যে বোলিং নিয়ে গর্ব করে, সেটা বিশ্বকাপে খুব একটা কার্যকর মনে হয়নি। তাদের মূল ব্যাটসম্যানরাও ধারাবাহিকভাবে রান করেনি। ব্যাটিং, বোলিং—দুই বিভাগেই ওরা চাপে আছে। তবে পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের ব্যাটিং একটু বেশি পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের স্পিনকে অবশ্য এগিয়ে রাখব।

বাংলাদেশের টপ অর্ডারকে নির্ভার হয়ে ব্যাটিং করার পথ খুঁজে বের করতে হবে। তাদের শরীরী ভাষায় আত্মবিশ্বাসের ছাপ দেখতে চাই। খুব আশা করব যেন ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে খুব বেশি নাড়াচাড়া না হয়। যত যা–ই হোক, তিনেই নাজমুলকে দেখতে চাইব এবং মিরাজকে মাহমুদউল্লাহর পরে। প্রথম বলেও যদি ওপেনিং জুটি ভাঙে, তবু। এটাও হতে পারে, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহকে চার ও পাঁচে খেলিয়ে সাকিব খেলল ছয়ে, সাতে মিরাজ। এই মুহূর্তে একমাত্র মাহমুদউল্লাহকেই চাপের মুখে আদর্শ ব্যাটিংটা করতে দেখছি। সেদিক থেকে এটা যুক্তিসংগত।

গত ম্যাচে তাসকিন ও মোস্তাফিজ ভালো বল করেছে। শরীফুলকেও পাশে দাঁড়াতে হবে। আজ তাদের কাছে আরেকটু ভালো বোলিংয়ের প্রত্যাশা থাকবে। যেহেতু একই মাঠ, ভিন্ন উইকেটে খেলা হলেও কিছুটা মিল তো থাকবেই। সেটা কিছুটা কাজে লাগতে পারে। তবে দু-একটি উইকেট নেওয়ার পর বাংলাদেশের কেবল রান থামানোর যে মানসিকতা, সেটা থেকে সরে আসতে হবে। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষ দল একসময় দাঁড়িয়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ে ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তাই ইনিংসজুড়েই উইকেট নেওয়ার মানসিকতা খুব জরুরি।

তবে যত যা-ই বলি না কেন, দল কোন ধরনের মানসিকতায় মাঠে নামবে, তাতে অনেক কিছু নির্ভর করবে। চাপের মধ্যেও খেলোয়াড়সুলভ চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে হবে। ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়কের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে বাংলাদেশকে অনেক কোণঠাসা অবস্থা থেকে ফিরে আসতে দেখেছি। ওরা যদি এবারও এই চরম নেতিবাচকতা অতিক্রম করতে পারে, তাহলে সেটি বাংলাদেশের জন্য দারুণ উদাহরণ হয়ে থাকবে।

সম্পর্কিত খবর

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মোকাবেলায় সরকার সতর্ক: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

gmtnews

ঢাকার প্রথম জয়ে, প্রথম হার বরিশালের

gmtnews

ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্কতা সংকেত

Zayed Nahin

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত