প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফির বাংলাদেশ সফর দেশের ক্রীড়া উৎসাহীদের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে।
তিনি বলেন, আমি আশা করি দেশের তরুণ প্রজন্ম ফিফা বিশ্বকাপ দেখে অনুপ্রাণিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনের লবিতে ফিফা বিশ্বকাপের মূল ট্রফি গ্রহণ অনুষ্ঠানে একটি প্রতিনিধিদল তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের বুটার ক্রিশ্চিয়ান কারেম্বেউ-এর সাথে সাত সদস্যের ফিফা প্রতিনিধি দলটি ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফির সাথে ছিল যারা বাংলাদেশে ৩৬ ঘন্টার সফরে আগের দিন ঢাকায় পৌঁছে।
গতকাল সকাল ১১টা ২০ মিনিটে পাকিস্তান থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি চার্টার্ড ফ্লাইট জমকালো ট্রফিটি নিয়ে আসে।
শেখ হাসিনা বলেন, ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা এবং সে কারণে দেশের ছেলেমেয়েদের এই খেলায় সম্পৃক্ত করতে তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
তিনি খেলাধুলায় বিশেষ করে ফুটবলে তার পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে, তার পিতামহ, পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভাই, সন্তান এমনকি নাতি-নাতনিরাও অত্যন্ত খেলাধুলাপ্রিয় এবং ক্রীড়াবিদ।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আসল ট্রফি বাংলাদেশে আনার জন্য ফিফা, কোকা-কোলা এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বিএফএফ) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পরে, ফিফা ও কোকাকোলার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে উপহার হস্তান্তর করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ এবং বাফুফে ও কোকাকোলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।