অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

দেশের অর্থনীতি গতিশীল: প্রধানমন্ত্রী

বৈশ্বিক মন্দার কারণে চাপে থাকলেও দেশের অর্থনীতি গতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৯ জুলাই) গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ১৪ দলের সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এখন মোটামুটিভাবে এমন জায়গায় আছি, অর্থনৈতিক চাপটা আছে, ডলারের ক্রাইসিস, এটা তো বিশ্বব্যাপী, আমাদের ওপরও আছে। তারপরও আমি বলব আমাদের অর্থনীতি গতিশীল আছে। এবারও আমরা ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা সমাজের সবদিকে লক্ষ্য রেখে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজকের বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে আমরা ঘোষণা দিয়েছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ, এখন আমরা ঘোষণা দিয়েছি স্মার্ট বাংলাদেশ করব।

দেশে পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের চালের অভাব নেই। আমাদের চাল ও অন্যান্য ফসল প্রচুর পরিমাণে আছে। আজ আমাকে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের তো চাল রাখার জায়গা নেই। এখন জায়গা খালি করি কীভাবে।

নতুন করে মজুত করতে জায়গা খালি করতে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যাদের আমরা রেশন দিই, যেমন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আছে, পুলিশ বাহিনী আছে, যাদের যাদের রাখার ব্যবস্থা আছে, তাদের আমরা একবারে তিন মাসেরটা দিয়ে দেব।

তিনি বলেন, ভিজিডি, ভিজিএফ মাসে মাসে দিই, সেটাও দরকার হয় তিন মাসের দিয়ে সেখানে আমরা জায়গা করবো এবং সেখানে নতুন করে আবার খাদ্য মজুত করব, যাতে ভবিষ্যতে কোনো দুর্যোগে সমস্যা না হয়।

গ্রামে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, হয়তো ঢাকা শহর সবাই দেখেন, গ্রামের দিকে যাননি। গ্রামের মানুষ, গ্রামে কিন্তু কোনো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নাই। আজও আমি খবর নিলাম, বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা এসেছিলেন, জিজ্ঞেস করলাম কী অবস্থা, বলে এখানে দাম বেশি, আমাদের ওখানে সব ঠিক আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জীবন পরিবর্তন হয়েছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি সেটাও কার্যকর করতে হবে। সেখানে কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের আসবে। সে প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ মানুষ অন্তত খেয়ে পরে ভালো আছে। এখন বর্ষাকালেও শীতকালের সবজি দেখেন। সবই পাওয়া যায়। আবার সেটা দাম বেশি হলে সবাই চিৎকার-চেঁচামেচিও করে। কিন্তু আগে তো এগুলো পাওয়াই যেতো না। এখন সবই পাওয়া যাচ্ছে।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে একটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। পদ্মা সেতু, এই একটা সিদ্ধান্ত, এখন সবাই বাংলাদেশকে সমীহ করে। পদ্মা সেতুতে দক্ষিণের মানুষের ভাগ্যের দুয়ার খুলে গেছে।

দেশের জনগণের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের উন্নত জীবন দেয়ার পাশাপাশি ভূমিহীন গৃহহীনদের বিনামূল্যে ঘর প্রদান, একই দিনে সারাদেশে শত সেতু ও শত সড়ক উদ্বোধন, শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানসহ দেশব্যাপী ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে।

সভায় ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সূচনা বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৪ দলের নেতাদের বক্তব্য শোনেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক এবং আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টি জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি প্রমুখ।

সম্পর্কিত খবর

ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: প্রধানমন্ত্রী

Zayed Nahin

টস জিতে ব্যাটিংয়ে এক পেসারের বাংলাদেশ

Shopnamoy Pronoy

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির শ্রদ্ধা

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত