দীর্ঘ দুই দশক পর মঙ্গলবার যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সম্পূর্ণরুপে প্রত্যাহার করে নিয়েছে জার্মানি। ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অ্যামেরিকাও তাদের সেনা আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে নেবে।
বিবৃতিতে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রায় ২০ বছর পর আমাদের শেষ সেনারা এই রাতে (মঙ্গলবার) আফগানিস্তান ছেড়ে গেছে এবং তারা বাড়ির পথে আছে। এটি একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সমাপ্তি।
গত এপ্রিলের মাঝামাঝিতে সামরিক জোট ন্যাটো এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেন যে, আফগানিস্তানে থাকা ১০ হাজার বিদেশি সৈন্যকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। গত ১ মে থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জার্মান সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে তাদের সব সেনা দেশে ফিরছে। সেখানে আর একজনও জার্মান সেনা নেই। তবে নিরাপত্তার কারণেই তারা এ নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি। আফগানিস্তানে সবমিলিয়ে জার্মানির এক হাজার একশ জন সেনা ছিল। মে মাস থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু হয়।
জার্মান সেনা আফগানিস্তান পৌঁছায় ২০০২ সালের জানুয়ারিতে। জার্মান সেনাকে প্রথমে বলা হয়েছিল, তালেবানের সঙ্গে লড়াই করা তাদের কাজ নয়, তাদের কাজ হলো আফগানিস্তানের পরিস্থিতি যাতে স্থিতিশীল হয় তার জন্য কাজ করা। সবমিলিয়ে প্রায় দেড় লাখ জার্মান সেনা আফগানিস্তান গেছেন। অনেকে একাধিকবার সেখানে গেছেন। তাদের খরচ সামলাতে এক হাজার ২৫০ কোটি ইউরো খরচ হয়েছে। আফগানিস্তানে ৫৯ জন জার্মান সেনা মারাও গেছেন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা চালায় জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দা। সেই হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এরপরই আল কায়দার পৃষ্ঠপোষক তালেবান গোষ্ঠীকে দমন করতে আফগানিস্তানে হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র ও সামরিক জোট ন্যাটো।
অভিযানে দেশটির তৎকালীন তালেবান সরকারের পতন হলেও তালেবান গোষ্ঠীকে নির্মূল করা সম্ভব হয়নি।
একটি মন্তব্য করা হয়েছে
[…] […]