অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

টানেলের যুগে বাংলাদেশ

টানেলের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে কর্ণফুলী নদীর নিচে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।

শনিবার নদীর নিচে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার ঘড়ির কাটা ঠিক সকাল ৬টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু টানেল। এরপর টানেল ব্যবহার করা প্রথম গাড়ি ছিলো কক্সবাজার থেকে আসা একটি প্রাইভেট কার। এটি আনোয়ারা প্রান্তে ২৫০ টাকা টোল দিয়ে পতেঙ্গা প্রান্তে আসে। এরপর একে একে অনেকগুলো ব্যক্তিগত এবং পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার হতে দেখা যায়।

কক্সবাজার থেকে আসা সুজন নামে এক চালক পণ্যবাহী একটি প্রাইম মুভার নিয়ে পতেঙ্গা প্রান্ত দিয়ে বের হন। তিনি জানান, ১০০০ টাকা টোল দিয়ে তিনি টানেল পার হয়েছেন।
 
সুজন বলেন, আগে শাহ আমানত ব্রিজ হয়ে ঘুরে যেতে অনেক সময় লাগতো। সেখান দিয়ে দিনের বেলায় পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে যাওয়া যেতো না। বিকেলের পর থেকে প্রবেশের সুযোগ ছিলো। কিন্তু এখন টানেল ব্যবহার করে দিনের যেকোনো সময় পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে পতেঙ্গা প্রান্ত দিয়ে বের হয়ে যাওয়া যাবে। এতে সময়ও অনেক কম লাগছে।
সকাল ছয়টা বাজার আগে থেকেই অনেকে গাড়ি নিয়ে পতেঙ্গা প্রান্তে এসে ভিড় করেন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার জন্য। তাদের কেউ কেউ মধ্যরাত থেকেই সেখানে অপেক্ষা করেন।
 
এর আগে শনিবার বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলটি উদ্বোধনের পর সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন প্রধানমন্ত্রী। 
 
প্রধানমন্ত্রী প্রথমে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে একটি এবং টানেল পার হয়ে আনোয়ারায় নদীর দক্ষিণ তীরে আরেকটি ফলক উন্মোচন করবেন। তিনিই প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে টানেল পার হন।
 
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, টানেলটি চট্টগ্রাম বন্দরকে সরাসরি আনোয়ারা উপজেলার সাথে সংযুক্ত করা ছাড়াও সরাসরি কক্সবাজারকে চট্টগ্রামের সাথে সংযুক্ত করবে।
৩৫ ফুট প্রস্থ এবং ১৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে তৈরি করা হয়েছে। ফলে ভারী যানবাহন সহজেই টানেলের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে পারবে। এই টানেলে যানবাহন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে।
 
টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪০ কিলোমিটার। যার সঙ্গে ৫.৩৫ কিলোমিটারের এপ্রোচ রোডের পাশাপাশি ৭৪০ মিটারের একটি সেতু রয়েছে। যা মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে টানেলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করবে এবং দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে।
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক দুই শতাংশ হার সুদে ৫,৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এবং বাকি অংশের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

সম্পর্কিত খবর

মিয়ানমারে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ফটকের নিয়ন্ত্রণ নিল বিদ্রোহীরা

Zayed Nahin

আজ দেশে ১২-ঊর্ধ্ব শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু

gmtnews

‘আমরা অবশ্যই নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে লড়ব, আমরা জিতবই’ : সন্তানের লাশ নিয়ে বাবার শপথ

Hamid Ramim

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত