অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বিশ্ব সর্বশেষ

জার্মানি ইসরায়েলের জন্য সকল ক্ষমতা ব্যবহার করছে: ওলাফ শলৎজ

ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির আরও সংহতি ও জার্মানির মাটিতে হামাস সমর্থকদের প্রতি কঠোর হওয়া ঘোষণা দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার জার্মানির পার্লামেন্টে এই ঘোষণা দেন তিনি।

বর্তমান সংকটময় পরস্থিতিতে সংহতি প্রদর্শন করতে শুক্রবার ইসরায়েল সফরের পরিকল্পনা করছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। জার্মানির পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বেয়ারবক জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে এটা স্পষ্ট করতে চান যে, জার্মানি দৃঢ়ভাবে ইসরায়েলের পাশে রয়েছে।

ওলাফ শলৎজ জার্মানির পার্লামেন্টে একটি সরকারি বিবৃতি দিয়ে এই যুদ্ধের জন্য ইরানকে যৌথভাবে দায়ী করেছেন। জার্মানির ডের স্পিগেল পত্রিকা জার্মান চ্যান্সেলরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যদিও কোনো উপযুক্ত প্রমাণ নেই যে, ইরান হামাসের এই কাপুরুষোচিত হামলাকে সমর্থন করেছে। তবে এটা আমাদের সবার কাছে পরিষ্কার, গত কয়েক বছরে ইরানের সমর্থন না থাকলে, হামাস ইসরায়েলি ভূখণ্ডে এই নজিরবিহীন হামলা চালাতে পারত না।’

জার্মানিতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রন প্রসার পার্লামেন্টের অফিশিয়াল গ্যালারি থেকে এই অধিবেশনে অংশ নেন। করতালি দিয়ে ইসরায়েলের সমর্থনে দেওয়া বক্তব্য স্বাগত জানান তিনি।

চ্যান্সেলর শলৎজ বলেছেন, জার্মান সরকার হামাসের হাতে অপহৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। তিনি বলেন, ‘জিম্মিদের ভাগ্য নিয়ে আমাদের সবাইকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। আমরা আশঙ্কা করছি, হামাস আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জিম্মিদের মানব ঢাল হিসেবে অপব্যবহার করতে থাকবে। আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বিত ও গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ করছি, যাতে সব জিম্মিরা দ্রুত মুক্তি পায় ।’

শলৎজ বিবৃতিতে আরও জানান, ‘ইসরায়েলের  প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে হয়েছে। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমাদের জানাতে বলেছি।’  

এছাড়া জার্মানিতে হামাস সমর্থকদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন ওলাফ শলৎজ। জার্মানিতে অবস্থিত ফিলিস্তিনি সংগঠন সামিদাউনকেও শিগগিরই নিষিদ্ধ করার ঘোষণা আসতে। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

গত শনিবার বার্লিন-নিউকোলেনের সোনেএ্যালিতে মিষ্টি বিতরণ করে ইসরায়েলে ওপর হামলা উদ্‌যাপন করে সামিদাউন।

উদ্‌যাপনের এই বিষয়টি অমানবিক উল্লেখ করে জার্মান চ্যালেন্সর বলেন, ‘আমরা জার্মানিতে ইহুদি বিদ্বেষকে প্রশ্রয় দেব না। আমাদের কারোরই ইহুদি বিরোধীদের প্রতি কোনো সহনশীলতা থাকা উচিত নয়। যদি কেউ হামাসের অপরাধকে মহিমান্বিত করে বা এর প্রতীক ব্যবহার করে, তারা জার্মানিতে বিচারের মুখোমুখি হবে। কেউ ইসরায়েলের পতাকা পোড়ালে, ফৌজদারি অপরাধে দায়ী হবে।’

ওলাফ শলৎজ বলেন, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে জার্মানির বর্তমান সহযোগিতা পর্যালোচনা করা হবে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নীরবতা লজ্জাজনক।

ফিলিস্তিনের অঞ্চলগুলোতে জার্মানির উন্নয়ন সহযোগিতা পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানান জার্মান চ্যান্সেলর। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কীভাবে আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো এই অঞ্চলের শান্তিকে সমর্থন করে ও ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।’

সম্পর্কিত খবর

গাজায় ‘বর্ধিত মানবিক বিরতির’ প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে

Hamid Ramim

চীনে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত

gmtnews

ফিলিস্তিনপন্থী দুই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত করল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিবাদ-সমালোচনা

Hamid Ramim

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত