চার দিনের যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে এসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক সংগঠনটি জানিয়েছে, চুক্তি না মানার কারণে শনিবার দ্বিতীয় দফায় যেসব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল, তাঁদের মুক্তির বিষয়টি স্থগিত করেছে তারা।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, শনিবার ১৪ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা হামাসের। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ৩৯ থেকে ৪২ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা।
হামাসের সামরিক কাসেম ব্রিগেডস শনিবার জানিয়েছে, গাজার উত্তর অংশে ত্রাণ সরবরাহ এবং ইসরায়েলি কারাগার থেকে যেসব ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হবে, তাঁদের নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে ইসরায়েল চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। এ কারণে জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি দিতেও বিলম্ব করছে তারা।
তবে হামাসের অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চুক্তির শর্ত তারা লঙ্ঘন করেনি। একই সঙ্গে এই যুদ্ধবিরতি শেষে হামাসকে নির্মূল করার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।
এতে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে এসেই চুক্তি নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বিরোধ দেখা দিল।
শুক্রবার গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এদিন হামাস ১৩ ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে, যাঁদের সবাই নারী ও শিশু। একই সঙ্গে শুক্রবার ১১ বিদেশিকেও মুক্তি দিয়েছে হামাস। এই বিদেশিদের মধ্যে ১০ জন থাইল্যান্ড ও ১ জন ফিলিপাইনের নাগরিক।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী শুক্রবার ১৩ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও হামাস আরও ১১ বিদেশিকেও মুক্তি দেয়। হামাস জানায়, ‘সৌজন্যতাবোধ’ থেকেই তাঁদের মুক্তি দিয়েছে তারা।
একই দিনে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ৩৯ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু বন্দীকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। চুক্তির শর্তে রয়েছে, প্রতি একজন জিম্মির পরিবর্তে তিন বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।