অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বিশ্ব সর্বশেষ

গাজায় ২৩ দিনে ৮ হাজার নিহত

গত ২৩ দিনে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৩০৬ জন নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে ৩ হাজার ৪৫৭টি শিশু আর ২ হাজার ১৩৬ জন নারী। এ ছাড়া বয়োবৃদ্ধ রয়েছেন ৪৮০ জন। পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন ১১৯ ফিলিস্তিনি। ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করে।

এ ছাড়া ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে গাজায় ১ হাজার ৯৫০ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের ১ হাজার ৫০ জনই শিশু। নিখোঁজ ব্যক্তিদের বেশির ভাগই হামলায় বিধ্বস্ত বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে। ধ্বংসযজ্ঞের ব্যাপকতার কারণে মরদেহের চেয়ে আহতদের উদ্ধারে জোর দিচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০৫ জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের তিন শতাধিক সেনা। এ ছাড়া নিজেদের বন্দীদের মুক্ত করে আনতে দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে গাজায় জিম্মি করে রেখেছেন হামাস যোদ্ধারা। এসব জিম্মির বেশ কয়েকজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।

ইসরায়েলের বিরামহীন বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে গাজার সর্বত্রই এখন ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। সড়ক ক্ষতবিক্ষত আর গুঁড়িয়ে দেওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ। মানুষের মাঝে আতঙ্ক আর টিকে থাকার মরিয়া ভাব।

জীবন বাঁচাতে উত্তর গাজার জাবালিয়া থেকে দক্ষিণে সরে এসেছেন ৫৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম শানদোগলি। দক্ষিণেও বোমা হামলা সত্ত্বেও কেন তিনি এখানে এসেছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘আপনিই বলুন আমরা কোথায় যাব? পুরো এলাকাই ঝুঁকিপূর্ণ।’

দক্ষিণে সরে আসা বাসিন্দাদের আরেকজন ইতিদাল আল-মাসরি। সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে এসেও খাবার, পানি ও ওষুধের সংকটে ভুগছেন এই নারী। মাসরি বলেন, ‘গাজায় এখন রুটির জন্য, শৌচাগারে যেতে এমনকি ঘুমাতেও বাসিন্দাদের লাইনে দাঁড়াতে হয়।’

গত রোববার খাবারের অভাবে থাকা লোকজন মরিয়া হয়ে ওঠে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, কয়েক হাজার মানুষ খাবার, আটা ও তেলের জন্য জাতিসংঘ পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রে হামলে পড়ে। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

গাজায় দিনে ১০০ ট্রাক ত্রাণের প্রয়োজন বলে ত্রাণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজার বাসিন্দাদের ত্রাণসহায়তার ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু সংঘাত শুরুর পর ত্রাণ সরবরাহে বাধা দিয়ে আসছে ইসরায়েল। গত ২৪ দিনে গাজায় কেবল শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে পেরেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর করিম খান রোববার ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘জেনেভা কনভেনশনে স্বীকৃত ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেওয়া আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’

সম্পর্কিত খবর

দ্বিতীয়বার কিয়েভ সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

gmtnews

ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল রিকশা ও রিকশাচিত্র

Zayed Nahin

নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা গর্হিত অপরাধ: সৌদি যুবরাজ

Shopnamoy Pronoy

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত