অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

খাগড়াছড়িতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা

২০০৭ সালের পর এ বছরে এসে আবারও স্মরণকালের বন্যা দেখল খাগড়াছড়িবাসী।

সর্বশেষ শুক্রবার (০২ আগস্ট) জেলায় বন্যা দেখা দেয়।

টানা বর্ষণের কারণে পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

চেঙ্গী নদীর দুই কুল উপচে পৌর এলাকার মুসলিমপাড়া, শান্তিনগর, বাঙ্গালকাটি, খবংপুড়য়া, রাজ্যমনিপাড়া, ফুটবিল, বটতলীসহ কয়েকটি এলাকার হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। শহরের পৌর বাস টার্মিনাল, নিচের বাজার ও আশপাশ এলাকা নিমজ্জিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়ক দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

এছাড়া সদর উপজেলার কমলছড়ি ও গোলাবাড়ি ইউনিয়নের গঞ্জপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৩০০ ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। রাস্তায় কোমর ও গলা সমান পানি থাকায় গ্রামবাসী গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন।

বিগত সময়গুলোতে টানা কয়েকদিনের বর্ষণে বন্যা হলেও এবার এক রাতের মুষলধারে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খাগড়াছড়ির অধিকাংশ এলাকা। সকালে নিচু এলাকা প্লাবিত হলেও দুপুরের পর থেকে অধিকাংশ এলাকা দ্রুত পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, বন্যায় পৌর এলাকার ৬-৭ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের জন্য ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া প্রত্যেকের জন্য খাবার ব্যবস্থা করছে পৌরসভা।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্গত ও পাহাড়ের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

আঙ্কারায় আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন করলেন মোমেন

gmtnews

অবকাঠামো ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতে স্পেনের বিনিয়োগের আহবান: ডিসিসিআই

gmtnews

ম্যাক্রোঁ ফের ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত